অক্ষয় কুমার আবারও প্রমাণ করলেন, সাহসী সামাজিক সিনেমার পেছনে উদ্দেশ্যটাই আসল। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে, নিজের জনপ্রিয় ছবি টয়লেট: এক প্রেম কথা নিয়ে জয়া বচ্চনের মন্তব্যের জবাব দিলেন তিনি। প্রথমে খানিকটা কড়া হলেও, পরে তার কথায় ধরা পড়ে শ্রদ্ধা ও সংযমের মিশ্রণ।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অক্ষয় বলেন, “কেউ যদি প্যাডম্যান বা টয়লেট নিয়ে সমালোচনা করে, তবে সে একেবারে বোকার মতো কাজ করছে।” কিন্তু যখন তাকে জানানো হয় যে, এই মন্তব্যটি এসেছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের কাছ থেকে, তখনই তার সুরে আসে নম্রতা। অক্ষয়ের জবাব, “উনি যদি বলে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই ঠিক বলেছেন।”
এই উত্তরের মধ্যেই যেন উঠে আসে দুই প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য। একদিকে অক্ষয় কুমারের মতো অভিনেতা, যিনি গত এক দশকে বলিউডে একের পর এক সামাজিক বার্তা বহনকারী ছবি উপহার দিয়েছেন। টয়লেট, প্যাডম্যান, এয়ারলিফ্ট—সবই এমন ছবি, যেগুলোর উদ্দেশ্য শুধুই বিনোদন নয়, বরং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটানো।
অক্ষয় এ বিষয়ে বলেন, “এই ছবিগুলো বানিয়েছি মন থেকে। শুধুমাত্র আয় নয়, আমি চাই সমাজে বদল আসুক।” তার দাবি, টয়লেট: এক প্রেম কথা আজও দেশের গ্রামে গ্রামে সরকারিভাবে প্রচার দেখানো হয়। প্যাডম্যান নিয়ে শুরু হয়েছে খোলামেলা আলোচনা, বিশেষ করে মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে।
অন্যদিকে, জয়া বচ্চন ইন্ডিয়া টিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি কখনও এমন নামের ছবি দেখতে যেতাম না।” যদিও তিনি ছবির উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু বলেননি, শুধু নাম নিয়ে মন্তব্য করায় শুরু হয়ে যায় নতুন এক বিতর্ক।
এই ঘটনাই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, বলিউড বদলাচ্ছে। আজকের সিনেমা শুধুই বিনোদনের জন্য নয়, তা হয়ে উঠছে সামাজিক বার্তা ছড়ানোর এক শক্তিশালী মাধ্যম।
একদিকে রয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীদের মত, যারা ছবির নাম নিয়েই সংবেদনশীলতা চান, অন্যদিকে রয়েছে অক্ষয় কুমারের মতো শিল্পীরা, যারা সাহসী নামের আড়ালে বড়সড় বার্তা পৌঁছে দিতে চান সাধারণ মানুষের কাছে।
এই বিতর্কে কে সঠিক, তা হয়তো সময়ই বলবে। তবে একথা নিশ্চিত, আজকের বলিউড সমাজে প্রভাব ফেলতে চায়—আর সেই বদলের জার্নিতে এমন আলোচনা যেন আরও সচেতন করে তোলে দর্শককেও।
এসএম/টিএ