অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখিয়েও শেষ রক্ষা হলো না অ্যাস্টন ভিলার। ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে গিয়েও এক গোলে পিছিয়ে থেকে ইউরোপীয় মঞ্চ থেকে বিদায় নিল উনাই এমেরির দল।
প্রথম লেগে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থাকা ভিলা এই ম্যাচে ছিল পুরোপুরি ব্যাকফুটে। পরিস্থিতি আরও কঠিন হয় যখন ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই দুই গোল খেয়ে বসে তারা। ভিলার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দৃষ্টিকটু ভুলে এগিয়ে যায় আক্রমণাত্মক পিএসজি, গোলদাতা আচরাফ হাকিমি। এরপর নুনো মেন্ডেসের চোখ ধাঁধানো গোল ভিলার সামনে চার গোলের কঠিন সমীকরণ দাঁড় করিয়ে দেয়।
কিন্তু ভিলা পার্কের গর্জনে হার মানতে রাজি ছিল না এমেরির শিষ্যরা। ৩৪ মিনিটে ইউরি টিলেমানসের ডিফ্লেক্টেড শটের গোল ম্যাচে নতুন রোমাঞ্চ যোগ করে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে তো পুরো ভিলা পার্ক রূপ নেয় এক উন্মাদনায়।
৫৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক শটে জন ম্যাকগিন স্কোরলাইন ২-২ করেন। মাত্র দুই মিনিট পর মার্কাস রাশফোর্ডের দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন এজরি কনসা। ম্যাচ তখন ৩-২, কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে ভিলা তখনও এক গোল পিছিয়ে।
পিএসজি তখন দিশাহারা। ভিলার টানা আক্রমণে একের পর এক রক্ষণের পরীক্ষা দিতে হয়। সেই মুহূর্তে নায়ক হয়ে উঠেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। অসাধারণ তিনটি সেভ- রাশফোর্ডের জোড়া শট, টিলেমানসের হেড এবং মার্কো অ্যাসেনসিওর পায়ের সামনে থেকে বল তুলে নেওয়া- প্রমাণ করে দেয় কেন তিনি এই মুহূর্তে ইউরোপের সেরা গোলরক্ষকদের একজন।
শেষ পর্যন্ত এই দোন্নারুম্মার দাপটেই বেঁচে যায় পিএসজি। সেমিফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে আর্সেনাল বা রিয়াল মাদ্রিদের।
অন্যদিকে, ভিলার জন্য এটি এক অনন্য যাত্রা। ৩-১ ব্যবধান থেকে ফিরে দাঁড়িয়ে এমন দুর্দান্ত লড়াই, যা ম্যানচেস্টার সিটি বা লিভারপুলও পারেনি, সেটিই তাদের সাহস আর সামর্থ্যের জানান দিল। ম্যাচশেষে দাঁড়িয়ে থাকা ভিলা পার্ক তুমুল করতালিতে অভিবাদন জানিয়েছে তাদের সাহসী দলটিকে।
আরএম/টিএ