মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া ২০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল তাদের বহনকারী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ চট্টগ্রামের বিএনএস ঈশা খান সমুদ্র জেটিতে পৌঁছায়। এরপর তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশি নাগরিকরা ১৩ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে রওনা দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. কামরুজ্জামান। এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও ফেরত নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই প্রত্যাবাসন আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সফল প্রতিফলন। যারা এখনও বিদেশে বিপদাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন, তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে অবৈধ ও অননুমোদিত উপায়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায়শই দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে। দীর্ঘ সময় পর ফিরে আসা এসব নাগরিকের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সতর্কবার্তা। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি বৈধ ও সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ ব্যতীত বিদেশগমনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন এবং সচেতনভাবে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, অসাধু দালালরা এসব অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরকে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করেছিল। পথে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তারা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হন। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এবং তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর বাংলাদেশ দূতাবাস প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।
গত দুই বছরে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস ৩৫২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করেছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রত্যাবাসন হয়েছিল।
টিএ/