প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি দিয়েছে বিএনপি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার হাতে এ চিঠি তুলে দেন।
‘দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দ্রুত করণীয় কিছু বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ’ শীর্ষক ওই চিঠিতে বিএনপি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের কথা উল্লেখ করে। দলটি দাবি করেছে, সেই আন্দোলনে কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন।
চিঠিতে বিএনপি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে এবং অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানায়। দলটির দাবি, একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সংবিধান, আইন ও প্রতিষ্ঠান সংস্কার জরুরি।
বিএনপি “আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র” ও “আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র” মতবাদকে ভ্রান্ত বলে আখ্যায়িত করেছে। তাদের মতে, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। তারা অতীতে গৃহীত ১৯ দফা, ভিশন ২০৩০, ২৭ দফা ও ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির কথা তুলে ধরে জানায়, এসব সংস্কার অব্যাহত থাকবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অতীতে প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া দুটি চিঠির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। একইসঙ্গে ৭৬৪ জন কর্মকর্তার পদোন্নতির পরও পদায়ন না হওয়ায় সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে দলটি মন্তব্য করে।
বিএনপি দাবি করেছে, সরকারের কিছু সদস্য ও সমর্থকদের বক্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে এবং প্রধান উপদেষ্টাকে আরও সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এনআইডি প্রকল্প ফিরিয়ে আনা, নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণের জটিলতা নিরসন এবং হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবিও জানায় তারা।
চিঠির শেষে প্রধান উপদেষ্টাকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
এসএস/এসএন