ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ ঘোষণা করেছেন যে, গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ার নিরাপত্তা অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনারা অনির্দিষ্টকালের জন্য মোতায়েন থাকবে। তার এই ঘোষণার ফলে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তির আলোচনা আরও কঠিন হতে পারে।
গত মাসে ইসরায়েল চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় তীব্র হামলা শুরু করে এবং গাজার প্রায় অর্ধেক অঞ্চল দখল করে নেয়। এর পাশাপাশি, গত বছর লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও ইসরায়েল তা অস্বীকার করেছে। আরও একটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখলেও ইসরায়েল নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চমকে দিয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাতজ বলেন, “ইসরায়েলি সেনারা যেসব অঞ্চল দখল করেছে, সেগুলিতে সরে যাবে না। গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ার নিরাপত্তা অঞ্চলে আমাদের সেনারা থাকবে, অস্থায়ী কিংবা স্থায়ীভাবে।”
ফিলিস্তিন এবং তাদের প্রতিবেশী দেশগুলো ইসরায়েলি সেনাদের এই দখলকে সামরিক দখলদারিত্ব হিসেবে বিবেচনা করে, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অবৈধ। হামাস তাদের অবস্থানে দৃঢ়, বলছে, “যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে পুরোপুরি সরে না যাবে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হবে, ততদিন পর্যন্ত তারা কোনও জিম্মি মুক্তি দেবে না।”
এদিকে, ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সরকার জানিয়েছিল যে, জিম্মিরা সবার আগে মুক্তি পাবে। কিন্তু এখন ভূমি দখলকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হবে চুক্তির মাধ্যমে সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্ত করা, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সম্ভব।”
এসএস/এসএন