বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে হামাসের সিনিয়র নেতা ও আলোচনাকারী দলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, হামাস অন্তর্বর্তীকালীন কোনো চুক্তিতে সম্মত হবে না।
তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান, ইসরাইল কর্তৃক বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠনের বিনিময়ে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে আটক বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে অবিলম্বে ‘বিস্তৃত প্যাকেজ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
নেতানিয়াহু ও তার সরকার রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ হিসেবে গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে চায় বলেও অভিযোগ করেন হামাসের এই নেতা।
তিনি বলেন, স্বল্পমেয়াদী যেকোন চুক্তি নেতানিয়াহুর গণহত্যাকে লুকিয়ে রাখার কৌশল হবে। যতদিন ফিলিস্তিনের ভূমি দখলে রাখবে ইসরাইল, ততদিন অস্ত্র হাতে রাখবে হামাস।
এদিকে বৃহস্পতিবার গাজাজুড়ে ইসরােইলি হামলায় কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হওয়ার পর শুক্রবার সকালে খান ইউনিসের একটি বাড়িতে ইসরাইলি হামলায় ১৩ জনের একটি পরিবারের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ফুঁসছে ইসরাইলিরাও। ‘রিস্টার্ট ইসরাইল’ নামের প্ল্যাটফর্মে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ যুদ্ধ ও বন্দিমুক্তির দাবিতে ৪৩টি পিটিশনে সই করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন, সেনা, গোয়েন্দা সদস্য, লেখক, শিল্পী, এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ও কয়েকজন সেনাপ্রধানও।
এমআর/টিএ