জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবে বাংলাদেশ দল। সেই লক্ষ্যে প্রথম টেস্টের ভেন্যু সিলেটে শেষ মুহূর্তের অনুশীলন করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা। আগামী ২০ এপ্রিল শুরু হবে সিলেট টেস্ট।
সিলেটে বাংলাদেশ দল কেমন প্রস্তুতি সারছে এবং সিরিজ নিয়ে বাংলাদেশের ভাবনা কি তা আজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন কোচ ফিল সিমন্স।সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতিটা দারুণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিলেটের সুযোগ-সুবিধা স্বপ্নের মতো জানিয়ে ৬২ বছর বয়সী কোচ বলেছেন, ‘প্রথম থেকেই প্রস্তুতি দারুণ হচ্ছে। এখানে সুযোগ-সুবিধা দারুণ, স্বপ্নের মতো। যেভাবে চাইবেন সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে।আমরা ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিতে পারছি।’
প্রপার উইকেটে খেলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের কথা জানিয়েছেন সিমন্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ বলেছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় প্রপার উইকেট। আমরা যেরকম টেস্ট দল হয়ে উঠতে চাই, সেজন্য যেমন উইকেট দরকার সেরকমই চাই।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য স্পিন ট্র্যাক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। প্রপার উইকেটে খেলেই আমরা টেস্ট জিততে চাই। স্পিন ট্র্যাক, সিমিং ট্র্যাক এমন কোনো আলোচনা হয়নি।’
জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করার লক্ষ্যে আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সিমন্স জানিয়েছেন, এ রকম এখনই ভাবছেন না তিনি। ম্যাচ ধরে এগোতে চান তিনি।
বাংলাদেশি কোচ বলেছেন, ‘হোয়াইটওয়াশ নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি সামনের ম্যাচ ধরে ভেবে থাকি। প্রথম টেস্ট আগে জিতি, এরপর সিরিজ জয়ের কথাও ভাববো। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা জিততে চাই। সিলেট পর্ব শেষ করে চট্টগ্রাম টেস্ট নিয়ে ভাববো।’
উইকেট পেস সহায়ক হলে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির সুবিধা হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে সিমন্স বলেছেন, ‘পেসারদের পক্ষে উইকেট থাকলে বিশ্বের যেকোনো দলের বিপক্ষেই সে হুমকি। তার উচ্চতা অনেক বেশি, এটা তাকে ভিন্নরকম সুবিধা দেয়। তবে তার বিপক্ষে ছেলেরা খেলেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দেখা হয়েছে। তার সম্পর্কে ধারণা আছে। কীভাবে খেলতে হবে নিশ্চয়ই সেই ধারণা হয়ে যাবে।’
নাহিদ রানার এক্স ফ্যাক্টরে বিষয়ে সিমন্স বলেছেন, ‘এটা মুজারাবানির মতোই ব্যাপার। তারা তাদের মতো করে ব্যাটারদের বেকায়দায় ফেলতে পারে, যার জন্য প্রায় সব পেসারই মুখিয়ে থাকে। ঠিক জায়গায় বল করতে পারলে অবশ্যই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে।’
এমআর/টিএ