ভারতীয় বাংলার অভিনেত্রী অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ৩০ বছর থেকে বড় পর্দায় কাজ করে চলেছেন । বড় পর্দায় অভিনেত্রী হিসেবে সফর শুরু ‘শ্বেত পাথরের থালা’ ছবিতে অভিনয় করে। এরমধ্যেই প্রযোজক হিসেবেও পথচলা শুরু হয়েছে তার। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার ছবি ‘পুরাতন’। এই ছবিতে তিনি অভিনেত্রী ও প্রযোজকও।
যা বক্স অফিস ও দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছে। ছবিতে শর্মিলা ঠাকুরের কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি একটা কথা বলেছিলাম। এই ছবি শুধু আমার একার নয়। এটা আমার পক্ষ থেকে বাংলা ছবির জগৎকে দেওয়া একটা উপহার। শুধু আমার বা প্রযোজনা সংস্থা নয়।’
‘বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কাছেই এই ছবি বড় পাওয়া। শর্মিলা ঠাকুর আবার বাংলায় ফিরলেন এই ছবির মাধ্যমে। এই ছবির মাধ্যমে সুমনও নিজের পরিসর বড় করতে পেরেছেন। সাধারণত প্রযোজনা সংস্থা নিজেদেরই প্রচারে রাখে। কিন্তু আমি পরিচালককে সেই জায়গা দিয়েছি।’
ঋতুপর্ণার কথায়, ‘আমি সব সময়ই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি। আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে অনেকে অনেক কিছু বলেছেন— কোনটা করা উচিত, কোনটা উচিত নয়। তবে আমি আমার লক্ষ্য থেকে কখনও সরে আসিনি। বক্স অফিসের সাফল্য তো রয়েছেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম, দর্শক ‘পুরাতন’-কে ফেরাবে না।’
ছবি মুক্তির পরে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবি দেখার পরে অনেক দর্শকের চোখে পানি দেখেছেন। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। অভিনেত্রী ও প্রযোজক হিসেবে এটাই তার কাছে বড় প্রাপ্তি বলে জানান ঋতুপর্ণা।
আরএম/টিএ