নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত রবিনটেক্স গার্মেন্টসে শ্রমিক ইউনিয়ন নির্মূলের চেষ্টায় প্রশাসনের সহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, অবিলম্বে সেলিম মাহমুদ সহ রবিনটেক্সের গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, চাকরিচ্যূতদের পুনর্বহালসহ উদ্ভুত শিল্প বিরোধের সম্মানজনক সমাধানের পদক্ষেপ না নিলে সারা দেশে প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ সব কথা বলেন তারা।
শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংহতি জানান বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন শ্রমিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান তালুকদার, নবকুমার কর্মকার, ইমাম হোসেন খোকন, খালেকুজ্জামান লিপন, জুলফিকার আলী, আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাইফুজ্জামান টুটুল, আবু জাফর, আফজাল হোসেন, রাহাত আহমেদ, এসএম কাদির প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল রবিনটেক্স শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে ৭৮জন শ্রমিকের নাম উল্লেখসহ কয়েকশো শ্রমিককে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ইতিপূর্বে রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ২২ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় সেলিম মাহমুদের নাম ছিল না।
শুধুমাত্র রবিনটেক্স কর্তৃপক্ষের অসৎ শ্রম আচরণ ও শ্রমিক নিপিড়নের প্রতিবাদে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানানো এবং নিপিড়িত শ্রমিকদের আইনি সহযোগিতার ব্যবস্থা করায় তাকে গ্রেফতার করে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে তারা পূর্বের ফ্যাসিস্ট সরকারের লুটপাটকারী মালিকদের পক্ষ নিয়ে শ্রমিক অধিকারহরণ করতে চায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শুধু বেতন-ভাতা পরিশোধই শ্রম আইনের পরিপালন নয়, ম্বাধীনভাবে সংগঠিত হওয়া এবং দর কষাকষি করা শ্রমিকের মৌলিক অধিকার। শ্রমিককে সংগঠিত হতে বাধা দেওয়া, দর কষাকষির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অর্থ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ অব্যাহত রাখার চেষ্টা।
রবিনটেক্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সেই মুখোশধারী শ্রমিক নিপীড়ক।
এ সময় শ্রমিকদের অধিকারহরণের জড়িত মালিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
আরএম/টিএ