জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খরচ জোগাতে ক্রাউডফান্ডিং করা হবে। এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। এছাড়া রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে নির্বাচন কমিশনের শর্তগুলোকে 'অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক' উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন দলটির নেতারা। পাশাপাশি, আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তার আগেই স্থানীয় সরকার ভোট আয়োজনের আহ্বান জানায় দলটি।
সম্প্রতি দলটির মূখ্য যুগ্ম সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন জানান, আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন চান তারা। এ সময় গণচাঁদা নিয়ে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করার কথাও জানান তিনি।
এর আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, দলের কার্যালয় স্থাপনসহ নির্বাচনী খরচ জোগাতে অনলাইন ও অফলাইনে ক্রাউডফান্ডিং করা হবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গ এনসিপিকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে।
ক্রাউডফান্ডিং মূলত স্টার্টআপ বা নতুন কোনো ব্যবসা উদ্যোগের জন্য তহবিল সংগ্রহের একটি পদ্ধতি। বিপুলসংখ্যক মানুষ কোনো ব্যবসা বা উদ্যোগের তহবিলের জন্য অল্প পরিমাণ করে অর্থ প্রদান করলে সেটাকে ক্রাউডফান্ডিং বা গণতহবিল বলে। সাধারণত এই অর্থ ফেরত দিতে হয় না। এই পদ্ধতিতে মূলত ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
রাজনীতিতে গণচাঁদা সংগ্রহ নতুন কিছু নয়। সাধারণত রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গণচাঁদা সংগ্রহ করেই চলে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের গণতহবিল সংগ্রহের উদাহরণ রয়েছে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার ৬৯ শতাংশ তহবিল ক্ষুদ্র দাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন।
বাংলাদেশে রাজনীতিতে গণতহবিল প্রসঙ্গে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইনত এতে কোনো অসুবিধা নেই। দলগুলো সাধারণত সদস্যদের চাঁদা, অনুদান নিয়ে থাকে। শুভাকাঙ্ক্ষীরাও অর্থ দেয়। তবে দলগুলোর অর্থের উৎসের স্বচ্ছতা থাকতে হবে। গণতহবিলের ক্ষেত্রেও একই নীতি থাকা প্রয়োজন।
এসএম/টিএ