ইরানে পালিত হচ্ছে জাতীয় সেনা দিবস। এ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানী তেহরানে একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। অনুষ্ঠানে তিনি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি, প্রস্তুতি ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য বাহিনীর প্রশংসা করেন।
পেজেশকিয়ান বলেন, “একটি সুসজ্জিত ও শক্তিশালী সেনাবাহিনীর উপস্থিতিই জাতির নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করে। এই শক্তি না থাকলে সমাজে নিরাপত্তার চিত্রটাই বদলে যেত।” তিনি জানান, ইরানের সেনাবাহিনী শুধু দেশের প্রতিরক্ষাই নয়, বরং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করছে।
তিনি আরও বলেন, ইরান বর্তমানে একটি আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে, আর এর পেছনে সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা ও আত্মনির্ভরতা বড় ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনী আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সামরিক সরঞ্জাম নিজেরাই তৈরি করতে সক্ষম, এমনকি উচ্চপ্রযুক্তির নির্ভুল অস্ত্র তৈরি করেও অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
পেজেশকিয়ান জানান, ইরানের সেনাবাহিনী শুধু সামরিক শক্তিতেই নয়, বরং দেশের প্রযুক্তি, শিল্প, বাণিজ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রেও অবদান রাখছে। তিনি বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী সরকার ও জনগণের নির্ভরযোগ্য মিত্র। যে কোনো সংকটে তারা প্রথম সারিতে থেকে দায়িত্ব পালন করেছে।”
এদিন সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, শত্রুদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সেনাবাহিনী যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা জাতির গৌরব।
এসএস