চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হারের রেশ কাটেনি এখনও। এর মধ্যেই লা লিগায় ঘরের মাঠে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষায় পড়েছিল বার্সেলোনা। ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। সাত গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে কাতালানরা।
শনিবার রাতে ৪-৩ গোলের জয় পেয়েছে বার্সা, যা শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে তাদের অনেকটাই চাঙ্গা করেছে।
এই জয়ে ৩২ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৬।
ম্যাচে বার্সার হয়ে জোড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। শেষ মুহূর্তে সফল স্পট কিকেই নিশ্চিত করেন জয়ের ব্যবধান। অন্য দুটি গোল করেন ফেররান তোরেস ও ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা দানি ওলমো। সেল্তার হয়ে হ্যাটট্রিক করেন বোর্হা ইগলেসিয়াস।
স্ট্যাটিসটিকসেও আধিপত্য ছিল বার্সেলোনার। ম্যাচে ৭২ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা নেয় ১৮টি শট, যার মধ্যে ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। সেল্তা নেয় ১১ শট, যার আটটি ছিল টার্গেটে।
প্রথমার্ধে ১২ মিনিটেই মাঝমাঠ থেকে বল টেনে এনে দূরপাল্লার শটে দলকে এগিয়ে দেন ফেররান তোরেস। তবে তিন মিনিট পরই সেল্তার হয়ে সমতা ফেরান ইগলেসিয়াস। এরপর ৫২ ও ৬২ মিনিটে আরও দুটি গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।
তবে এক গোল পিছিয়ে পড়ার পর বদলি হিসেবে ওলমো ও ইয়ামাল মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় ম্যাচের গতি। ওলমো নিজে এক গোল করেন এবং রাফিনিয়ার সঙ্গে দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় আক্রমণভাগকে করে তোলেন ধারালো।
৬৮তম মিনিটে রাফিনিয়া গোল করে সমতা ফেরান। ম্যাচের অন্তিম সময়ে ওলমোর বিরুদ্ধে ফাউলের কারণে পেনাল্টি পায় বার্সা। ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেন রেফারি। অতিরিক্ত সময়ের অষ্টম মিনিটে গোল করে ম্যাচে জয়ের মোহর লাগান রাফিনিয়া।
এই ম্যাচে পাওয়া তিন পয়েন্ট শিরোপা দৌড়ে বার্সেলোনাকে যেমন উজ্জীবিত করবে, তেমনি শেষ বাঁশির পর খেলোয়াড়দের উদযাপনেই বোঝা যাচ্ছিল জয়টি ছিল কতটা প্রয়োজনীয়।
এসএস/এসএন