গাজার নিপীড়িত মানুষের প্রতি বিশ্বখ্যাত অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ এপ্রিল) নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গাজা নিয়ে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (ডব্লিউএফএস) একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেন তিনি। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
দীর্ঘ দুই দশক ধরে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত ও বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করা জোলির শেয়ার করা ওই পোস্টে গাজার পরিস্থিতিকে বর্ণনা করা হয়েছে ‘ফিলিস্তিনিদের ও তাদের সাহায্যকারীদের জন্য এক গণকবর’ হিসেবে।
পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনী যখন আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান আবারো শুরু ও সম্প্রসারিত করছে, তখন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক সহায়তা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জীবনব্যবস্থা আবারো পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, গাজায় ইসরাইলের প্রাণঘাতী হামলা মানবিক সহায়তা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ওপর স্পষ্ট হুমকি তৈরি করেছে।ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের প্রতি গাজায় চলমান ‘অমানবিক ও প্রাণঘাতী অবরোধ’ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবন এবং মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তাকারী কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। পোস্টে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশাও ব্যক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বর্বর হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
অন্যদিকে, গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে)।
এমআর/টিএ