আইএমডিবি শুধু বিশ্বের সবচেয়ে প্রশংসিত বা উচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর তালিকাই তৈরি করে না, বরং সবচেয়ে বাজে বা নিম্ন রেটিং পাওয়া ছবিগুলোর তালিকাও প্রকাশ করে। সম্প্রতি হালনাগাদ হওয়া সেই সর্বনিম্ন রেটিংয়ের তালিকায় যদিও বাংলাদেশের কোনো সিনেমা নেই, তবে এই তালিকার পেছনে বাংলাদেশের দর্শকদের দেওয়া রেটিংয়েরও একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
ভারতীয় অভিনেতা রণবীর সিংয়ের একটি সিনেমাকে বাংলাদেশের ৯ হাজারের বেশি দর্শক ১ রেটিং দিয়েছেন। যা সিনেমাটি নিয়ে গেছে সর্বকালের সেরা কম রেটিংয়ের ১০০ সিনেমার তালিকায়। এর কারণ কী?
রণবীর সিং অভিনীত সেই সিনেমার নাম ‘গুন্ডে।’ সিনেমাটি ২০১৪ সালে মুক্তি পায়। ৫০ কোটি বাজেটের সিনেমাটি ১৩০ কোটি রুপি আয় করে। সে বছর আয়ে দশম অবস্থানে ছিল সিনেমাটি। বক্স অফিসের সাফল্য দেখালেও পরে সিনেমাটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। যা ভারতীয় দর্শকদের ওপরও প্রভাব ফেলে।
কলকাতার দুই বখে যাওয়া তরুণ; বিক্রম ও বালার প্রভাব প্রতিপত্তি ও অপরাধের গল্প নিয়েই সিনেমাটি। অ্যাকশন এই সিনেমাটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক ছিল, সিনেমার গল্পে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখানো হয়েছিল।
এ ছাড়া সিনেমার গল্প ও সংলাপে মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ এলেও সেখানে কিছু ভুল তথ্য ছিল। যে কারণে রণবীর সিংয়ের অনেক ভক্ত সিনেমাটিকে গ্রহণ করতে পারেননি। এমন সমালোচনার মধ্যে বাংলাদেশের দর্শকেরা সিনেমাটিকে আইএমডিবিতে সর্বনিম্ন রেটিং দেওয়া শুরু করেন।
‘গুন্ডে’ সিনেমার বর্তমান আইএমডিবি রেটিং ২.৭। যা আইএমডিবির সর্বকালের সেরা কম রেটিংয়ের সিনেমার মধ্যে একটি। সম্প্রতি আপডেট হওয়া এই তালিকায় দেখা যায়, ৬০ নম্বরে রয়েছে ‘গুন্ডে।’ সিনেমাটিকে মোট ৬১ হাজার দর্শক ভোট দিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বাংলাদেশ থেকে; ৯ হাজার ৭০০। সেখানে ৯ হাজার ৩০০ ভোটার সিনেমাটিকে ১০ এ ১ রেটিং দিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশের দর্শকই নয়। ভারতের দর্শকও সিনেমাটি কম রেটিং দিয়েছেন। ভারত থেকে মোট ৭ হাজার ৪০০ ভোট পড়ে। এর মধ্যে ৩ হাজার ২০০ ভোটার সিনেমাটিকে ১ রেটিং দিয়েছেন।
সিনেমা–সম্পর্কিত আইএমডিবির তথ্যভান্ডারে রেটিং প্রসঙ্গে লেখা রয়েছে, ‘সিনেমাটি নিয়ে বাংলাদেশের দর্শক বিরক্ত হয়েছেন। এর কারণ, সিনেমাটিতে দেশটির ঐতিহাসিক ঘটনাকে ভুল ভাবে দেখানো হয়েছে। যে কারণে সিনেমাটির রেটিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’ জানা যায়, সিনেমাটি মুক্তির পর কম রেটিংয়ের তালিকায় শীর্ষে ছিল।
আরএ/টিএ