অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার এপিএসদের সরিয়ে দেওয়ায় যথেষ্ট নয়, তাদের বিষয়ে দুদকের তদন্ত হওয়া উচিত। তাদের দুর্নীতির সঙ্গে উপদেষ্টাদের কোনো সংযোগ আছে কিনা সেটাও তদন্তে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. মির্জা গালিব।মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন মির্জা গালিব।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের এপিএসদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসিফ মাহমুদের এপিএসদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকদিন থেকেই নানাজনের কাছে শুনতেছিলাম। এদেরকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে এসব অভিযোগের হয়ত সত্যতা আছে। যদি দুর্নীতির অভিযোগ সত্য হয়, তাইলে শুধু তাদেরকে সরিয়ে দেওয়াই যথেষ্ঠ না। তাদের বিষয়ে দুদকের তদন্ত হওয়া উচিত। তাদের দুর্নীতির সঙ্গে উপদেষ্টাদের কোনো সংযোগ আছে কিনা সেটাও তদন্তে আসা উচিত।
ছাত্রশিবিরের সাবেক এই নেতা আরও বলেন, এপিএসরা দুর্নীতি করবে আর উপদেষ্টারা বলে বেড়াবে আমার ব্যাংক হিসাব দেখেন, আমার কোনো টাকা পয়সা নাই (সব এপিএস এর একাউন্টে!) এটাতো আর নয়া বন্দোবস্ত হইল না!
এর আগে সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এমআর/টিএ