মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও অনেকে। এই পরিস্থিতিতে এমন হামলার নিন্দায় গর্জে উঠলেন বলিউডের মহাতারকা অক্ষয় কুমার। এক্স হ্যান্ডলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
অক্ষয় লিখেছেন, ‘পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার খবর শুনে আমি ভীত। এভাবে নিরীহ মানুষদের হত্যা করা নিছক জঘন্য কাজ। তাঁদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি।’
মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ দেশভর ছড়িয়ে পড়ে জঙ্গি হামলার খবর। শোকের ছায়া নেমে আসে। বিদেশ সফরে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই জঙ্গি হামলার নিন্দা করে মোদি লিখেছেন, ‘জম্বু-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারালেন, তাঁদের জন্য সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই জঘন্য কাজে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী হবে।’
এপ্রিল-মে মাসে কাশ্মীরের পর্যটনের ভরা মরশুম। সবেমাত্র সন্ত্রাসের আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছিল ভূস্বর্গ। শ্রীনগরের টিউলিপ গার্ডেন থেকে ডাললেক, সোনমার্গ থেকে পহেলগাঁও- ভরা পর্যটকে। আর ঠিক এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাল জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ১-৭ এপ্রিল রেইকি চালিয়েছিল লস্করের জঙ্গিরা। একাধিক পর্যটনস্থলের রিসর্টে রেইকি করেছিল তারা। শেষপর্যন্ত বেছে নেয় কাশ্মীরের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ পহেলগাঁওর বৈসারন ভ্যালির এই রিসর্টকে।
দুপুরে যখন খোশমেজাজে ছুটির মৌতাত নিচ্ছিলেন পর্যটকরা তখনই জলপাই রঙের পোশাক পরে ঘোড়ায় চেপে সবুজ উপত্যকায় হাজির হয় ৬-৭ জন ‘মৃত্যুদূত’। দু’-তিনটে দলে ভাগ হয়ে অতর্কিতে ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ধর্মীয় পরিচয় দেখে রীতিমতো ‘টার্গেট কিলিং’ চালায় তারা। তাতেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৬ জনের। এই তালিকায় দুজন বিদেশিও রয়েছেন বলে খবর। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও অনেকে।
এমআর/টিএ