অস্কারে নতুন নিয়ম, প্রাধান্য পাবে ‘এআই’

বিশ্বের বিনোদন অঙ্গনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘অস্কার।’ অস্কারজয়ী সিনেমাকেই ইতিহাসের পাতায় দেওয়া হয় অনন্য সম্মাননা। তবে অস্কারের মঞ্চ সহজ নয় কারো জন্যই। কঠিন সব ধাপ পেরিয়ে তবেই সুযোগ মেলে অস্কারে প্রতিযোগিতা করার।

এবার অস্কারের সেই রাস্তা আরো কঠিন করা হলো। অস্কারে সিনেমা নির্বাচন হবে আরও কঠিন। মানতে হবে একাধিক নিয়মও।

৯৮তম অস্কার পুরস্কারের তারিখ ঘোষণার পাশাপাশি অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম।

২০২৬ সালের ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে অস্কার পুরস্কার। তার আগেই কোন কোন নিয়ম মেনে সিনেমা নির্বাচিত হবে, অ্যাকাডেমি সদস্যদের কোন কোন নিয়ম বা রুল মেনে চলতে হবে তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।

সময়ের সঙ্গে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস তথা অস্কারে এসেছে নানা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন। ৯৮তম আসরকে সামনে রেখে এবার আরো দুটি নিয়ম সংযোজন করল দ্য একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস।

একটি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি নিয়ে। একাডেমি জানিয়েছে, চলচ্চিত্রে এআই ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই।

এক লিখিত বার্তায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণে জেনারেটিভ এআই কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল টুল ব্যবহারের ফলে ছবির অস্কারে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কমে কিংবা বাড়ে না; বরং ছবির সৃজনশীলতাকেই প্রাধান্য দেবেন ভোটাররা।’

গত মাসে (মার্চে) আয়োজিত চলতি বছরের অস্কার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অ্যাড্রিয়েন ব্রডি ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেন। এর পরই সিনেমাতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

এই সিনেমাটিতে চরিত্রের প্রয়োজনে অ্যাড্রিয়েন ব্রডিকে হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় কথা বলতে হয়। হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় তাঁর উচ্চারণ নিখুঁত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এআই প্রযুক্তি।

অস্কারে এআই’র কারসাজি অবশ্য এখানেই শেষ নয়। অস্কার বিজয়ী ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমাটিতেও একই প্রকার ভয়েজ ক্লোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে করে গানের কণ্ঠস্বরকে আরও নিখুঁত করে তোলা যায়।

নতুন আরেকটি নিয়ম ভোটারদের জন্য। যারা অস্কারে ভোট দেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত সব ছবি দেখতে হবে। তা ছাড়া এবার থেকে কাস্টিংয়ের জন্যও দেওয়া হবে অস্কার।

আরআর/টিএ

Share this news on: