রোহিঙ্গা সংকট কেবল একটি মানবিক ইস্যু নয়, এটি একটি বহুমাত্রিক সমস্যা যার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে, বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দোহায় কাতার ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান হলো রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক যুক্ত হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
ড. ইউনূস বলেন, রাখাইন রাজ্যে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলেছে—আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে ১৪টি টাউনশিপ ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বড় অংশ দখল করেছে। এই পরিস্থিতির কারণে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। একই সঙ্গে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে ৯০৯ জন মিয়ানমার সেনাসদস্য সীমান্ত পার হয়েছে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গা মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক অর্থায়ন হ্রাস পাচ্ছে। ২০২৪ সালের জন্য ৮৫২ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৬৪.৪%। ভবিষ্যতের জন্য আহ্বান করা অর্থের ঘাটতিও ভয়াবহ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (WFP) পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে খাদ্য সহায়তা বন্ধের সম্ভাবনার কথা বলা হলেও তা আপাতত স্থগিত রয়েছে। তবে সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে খাদ্য সংকট ফের ঘনিয়ে আসতে পারে, বলেন ড. ইউনূস।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত ও কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে কাতার সহানুভূতির নেতৃত্ব দেবে।
এসএস/টিএ