পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জেরে উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক আর প্রতিশোধের আগুন। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীর দায় স্বীকারের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়াও যথেষ্ট কড়া।
মঙ্গলবারের হামলায় পহেলগাঁওয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন টি আর এফ (The Resistance Front)। হতাহতদের মধ্যে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা থাকার খবর গোটা দেশে শোকের ছায়া ফেলেছে।
বুধবার সকালেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধানেরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ, যেমন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির ওপর নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত বরাবর সেনা উপস্থিতি ও নজরদারি বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি, সেনা-পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বলেন, “ভারত সন্ত্রাসের কাছে নতি স্বীকার করবে না। অপরাধীরা রেহাই পাবে না।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই সুরে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে, হামলার পর আতঙ্কে কাশ্মীর ছাড়ছেন শত শত পর্যটক। কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমান সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে, ভাড়া নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা অন্য কৌশলগত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা নিয়েই এখন নজর গোটা দেশের।
এসএস/টিএ