‘জুলাই গণহত্যার বিচার, এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। দাবি আদায়ে তিন সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।’
বুধবার (২২ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এই দাবি জানান।
নেতারা বলেন, “২০০৮ সালে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে। সেই সময় জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নিরস্ত্র মানুষের ওপর চালানো হয় বর্বর গণহত্যা। এই ‘জুলাই গণহত্যা’র এখনো কোনো বিচার হয়নি। বরং অপরাধীদের মুক্তি দিয়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে।”
তারা আরও বলেন, “ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামকে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় ২০১২ সালে গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ঘাটতি সত্ত্বেও তাকে ন্যায়বিচার দেওয়া হয়নি।”
নেতাদের অভিযোগ, বিগত ১৬ বছরে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ১১ হাজারেরও বেশি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ১০১ জন শহীদ, অসংখ্য গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখনও ৭ জন নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন।
তারা বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেকের বিরুদ্ধে থাকা মিথ্যা মামলা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। পিলখানা, পল্টন ও শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচারও ঝুলে আছে।”
ছাত্রশিবির হুঁশিয়ার করে বলেছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে কঠোর কর্মসূচিতে যাবে তারা।
এসএস/টিএ