রামায়ণ কেবল এক পৌরাণিক কাহিনি নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির শিরায় শিরায় মিশে থাকা এক মহাগ্রন্থ। আর সেই কাহিনির সিনেমার রূপান্তরে এবার একেবারে সাহসী ও কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে রাকুল প্রীত সিংহকে শূর্পনখা চরিত্রে কাস্ট করে।
রাকুলের এই চরিত্র খুব বেশি সময়ের জন্য পর্দায় থাকবে না, কিন্তু প্রভাবের দিক থেকে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শূর্পনখার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান থেকেই জন্ম নেয় রামায়ণের ভয়ঙ্কর অধ্যায়। তাঁর অপমানই রাবণকে সীতাহরণের পথে ঠেলে দেয়, যার ফলেই ঘটে রাম-রাবণ যুদ্ধ। বলা যায়, এই চরিত্রই পুরো কাহিনিকে মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এই চরিত্রের জন্য দরকার সৌন্দর্য, আকর্ষণ, আত্মসম্মান আর একরাশ অভিমান। শূর্পনখা যেমন লোভনীয় রূপে আকৃষ্ট করেন, তেমনই অপমানিত হয়ে ক্রোধে ফেটে পড়েন। রাকুল প্রীত সিংহের অভিনয়ে পরিণত অভিব্যক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং সৌন্দর্য এই ভূমিকায় নিখুঁত ভারসাম্য আনতে পারে। সিনেমায় তাঁকে শুধু এক পার্শ্বচরিত্র হিসেবে নয়, বরং মূল চালিকা শক্তি হিসেবে তুলে ধরা হবে বলে নির্মাতাদের ইঙ্গিত।
এই সিনেমার কাস্টও কম শক্তিশালী নয়। রণবীর কাপুর থাকছেন রামের চরিত্রে, সাই পল্লবী সীতার ভূমিকায়, যশ রাবণ হিসেবে। মন্দোদরীর চরিত্রে কাজল আগরওয়ালও থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। পরিচালনা করছেন নিতেশ তিওয়ারি, আর প্রযোজনায় নামিত মালহোত্রা।
মুক্তির তারিখও ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম অংশ আসছে দীপাবলিতে ২০২৬ সালে, দ্বিতীয় অংশ ২০২৭ সালে। এর থেকেই বোঝা যায়, রামায়ণ শুধু আরেকটি সিনেমা নয়, বরং এক সর্বভারতীয় মিথোলজিক্যাল আয়োজন হতে চলেছে, যার প্রতি মুহূর্তে থাকবে আবেগ আর বিশালতার ছাপ।
সবশেষে বলা যায়, রাকুল প্রীত সিংহের শূর্পনখা হয়ে আসা মানে এক স্পষ্ট বার্তা — এই চরিত্র এবার শুধু চোখে নয়, হৃদয়ে জায়গা করে নেবে। অভিমান, আত্মসম্মান আর প্রতিশোধের আগুন নিয়ে শূর্পনখা ফিরছেন, আর রাকুল প্রীত সিংহ সেই আগুন জ্বালাতে তৈরি।
আরআর/টিএ