রাজধানীর আরও দুই এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

গুলশানের পর এবার মিরপুর-১০ ও ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড এলাকাকে ব্যাটারিচালিত রিকশামুক্ত ঘোষণার পরিকল্পনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি, তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদের পরিকল্পনাও রয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে মোহাম্মদপুরের হাইক্কার খালে (কাটাসুর) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি বলেন, মিরপুর-১০ এবং ফার্মগেট ইন্দিরা রোড সম্পূর্ণভাবে ফুটপাতের হকার ও টেসলামুক্ত (ব্যাটারিচালিত রিকশা) হবে। আমি অভিযান শুরু করেছি। রাতে ও দিনে অভিযান পরিচালনা করবো।

মোহাম্মদ এজাজ আরও বলেন, ‘তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডে আমি নিজে গিয়েছি। রাস্তায় ট্রাকের পার্কিং বন্ধে স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করছি আগামী কোরবানির ঈদের আগে এটি সমাধান করতে পারবো।’

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, ‘অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আমরা উচ্ছেদ অভিযান করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাঠ দখলমুক্ত করছি, অবৈধ দোকান ও হকার উচ্ছেদ করছি এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করেছি। বাড়ি ৩ তলা হোক ১০ তলা হোক আমরা সব ভেঙে দেব একটা একটা করে। আমাদের লোকবল কম ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ করা হবে। আজকে নিরাপত্তা বাহিনী, আর্মি আছে, অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি রেখেছি। আমরা কোন ছাড় দিব না।’

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এই খালের (হাইক্কার) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আমরা খাল খনন করে লাউতলা খালের সাথে সংযোগ করে দিব। ডিএনসিসির কবরস্থানের দেওয়ালও ভেঙে দিয়ে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। ফলে বৃষ্টির পানি, বন্যার পানি খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তুরাগে যাবে।’

প্রশাসক বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মোহাম্মদপুরের এই খাল পরিদর্শনে এসে দেখি খালে বালু ফেলে ভরটা করছে। খালের ভিতরে অনেকগুলো স্থাপনা হয়ে গেছে। আমি তাৎক্ষণিক অবৈধ ভবনগুলো ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিলে ভবনের মালিকরা আমাকে জানিয়েছে এগুলো খালের সীমানায় পড়ে নাই, তারা চ্যালেঞ্জ করেছে। পরে আমাদের সার্ভেয়ার এবং তাদের সার্ভেয়ার যৌথভাবে সার্ভে করেছে। যৌথ সার্ভেতে দেখা গেছে একটি দোতলা বাড়ি, একটি তিনতলা বাড়ি এবং মসজিদের একটি অংশসহ বেশ কয়েকটি টিনের ঘর খালের সীমানায় পড়েছে। কিন্তু তারা নিজেরা ভেঙে নেয়নি। তাই আজকে ডিএনসিসি থেকে আমরা অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ভবন ও স্থাপনা উচ্ছেদ করছি।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডে আমি নিজে গিয়েছি। রাস্তায় ট্রাকের পার্কিং বন্ধে স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করছি আগামী কোরবানির ঈদের আগে এটি সমাধান করতে পারবো।’

আরএ/টিএ

Share this news on: