বিশ্বখ্যাত রেসলিং তারকা জন সিনার হাতে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিলেন এক বাংলাদেশি তরুণ। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।
জন সিনার হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেওয়া তরুণের নাম শাবাব তাশরিফ জামান। এ ঘটনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে ব্যাপক গর্ব ও আবেগের জন্ম দিয়েছে। অনেকে এটিকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও পরিচিতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার এক অনন্য মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন।
শাবাব তাশরিফ জামান নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব কামরুজ্জামান চৌধুরী স্বপনের একমাত্র ছেলে। ২০২২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন এবং বর্তমানে সেখানকার তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত একটি ডব্লিউডব্লিউই ইভেন্টে জন সিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শাবাব। এ সময় তিনি জন সিনার হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেন। মুহূর্তটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
এ বিষয়ে শাবাব তাশরিফ জামান বলেন, জন সিনার সঙ্গে দেখা করার সময় আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলি। তখন জন সিনা আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘Young man, please don't cry।’ এই হৃদয়স্পর্শী মুহূর্তটি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। তার হাতে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আমি 'জন সিনা ফেয়ারওয়েল ট্যুর ২০২৫' লেখা টি-শার্ট পরে অনুষ্ঠানে অংশ নিই। এটি জন সিনার বিদায় সফরের অংশ, যেখানে তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩৬টি স্থানে উপস্থিত থাকবেন। রেসলম্যানিয়া ৪১-এ কোডি রোডসকে হারিয়ে সিনা ১৭ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন এবং রিক ফ্লেয়ারের দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙে দেন। ডিসেম্বরে নির্ধারিত শেষ ম্যাচের মধ্য দিয়ে জন সিনার কিংবদন্তি ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে।
শাবাবের বাবা সাবেক সচিব কামরুজ্জামান চৌধুরী স্বপন বলেন, আমার ছেলে লাল-সবুজের পতাকা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছে, এটি আমাদের জন্য অপরিসীম গর্বের বিষয়। প্রবাসেও দেশের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান বজায় রাখা সম্ভব—শাবাব তার প্রমাণ দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সন্তান শাবাব তাশরিফ জামান বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আমাদের তরুণ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
এফপি/এসএন