জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ টিম।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সহকারী পরিচালক রাশেদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করছেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন বাহানায় হাসপাতাল কর্মচারীদের রোগী থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। যে কারণে গত ১০ মার্চ মারামারির ঘটনাও ঘটে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্মচারীদের সংঘর্ষে সেদিন চিকিৎসা বন্ধ থাকে প্রায় ৪ ঘণ্টারও বেশি সময়।
অভিযোগ রয়েছে, ৫০০ টাকার ব্লাড ৫/৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে। এছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা, স্ট্রেচারে আনা-নেওয়া ও বিভিন্ন সেবাকে কেন্দ্র করে অসহায় রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জুলাই-আগস্টে আহতদের প্রতিবাদের কারণে হাসপাতালের কিছু স্টাফ ও দালালদের ঘুষ নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণেই পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, যে কোনো দুর্ঘটনা বা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নিম্ন আয়ের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল। রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। মানুষের ভিড় ঠেলে, টিকিট কেটে ডাক্তার পর্যন্ত পৌঁছাতে গলদঘর্ম হতে হয় রোগীদের, তারপরও মেলে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। হাসপাতালটিতে লোকবল সংকটও রয়েছে। এক হাজার শয্যার এই হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তির পরিমাণ ধারণের চেয়েও বেশি। এই সুযোগে বিভিন্ন পরীক্ষা, স্ট্রেচারে আনা-নেওয়া ও বিভিন্ন সেবাকে কেন্দ্র করে অসহায় রোগীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু কর্মচারী।
আরআর/এসএন