চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তরিকুল আলমের বক্তব্যের সময় বাধা এবং তার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে জেলা পুলিশ আয়োজিত সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক একটি সভায় ঘটনাটি ঘটে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার মো. তরিকুল আলম আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঘটনাকে তুলনা না করার আহ্বান জানান।
এ সময় সামনের সারিতে থাকা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান উত্তেজিত হয়ে তরিকুল আলমের দিকে আঙুল তুলে তেড়ে আসেন এবং চিৎকার করে তার বক্তব্য বন্ধ করতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কয়েকজন চেঁচামেচি শুরু করেন এবং একজন তরিকুল আলমকে মাইক্রোফোন দিতে বলেন। এরপর পুলিশের একজন সদস্য তরিকুল আলমের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম বলেন, আমি কী বলতে চেয়েছিলাম, তা বলতে দেওয়া হলো না। আমি কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করি না। মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবই। তাই বলে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে অস্বীকার করি না। যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের শ্রদ্ধা করি। আহত ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি আছে। কিন্তু আমাকে এ কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তার আগেই থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
এ বিষয়ে জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান বলেন, উনি (মুক্তিযোদ্ধা) ৫ আগস্টকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেওয়ায় আমি এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।
ঘটনার পর সমাবেশে ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান ও জেলা পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বক্তব্য দিলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে, জেলা পুলিশ সুপার রেজাউল করিম পরে মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। হঠাৎ করেই ঘটে গেছে।
এফপি/টিএ