বৈঠকে অংশ নেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার। গণসংহতি আন্দোলনের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন জোনায়েদ সাকি, বৈঠকে অংশ নেন।
আলী রীয়াজ বলেন, সবাই একমত হলে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে। শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথষ্টে নয়, সে জন্য দরকার একটি গণতানি্ত্রক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করা, গণতনে্ত্রর চর্চা করা, গণতানি্ত্রক শক্তিগুলোকে একত্র থাকা। তিনি বলেন, ‘৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতানি্ত্রক, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মতো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যারা চষ্টো করেছেন, তাদের সবার কাছে আমাদের দায়।'
বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনকে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হিসেবে সম্পন্ন করার আহ্বান পুনর্বযক্ত করা হয়। যেসব সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই সেসব বিষয় লিপিবদ্ধ করে জুলাই চার্টার ঘোষণার ব্যাপারে জোর দেয় দলটি। জুলাই চার্টারের ভিত্তিতে সংবিধান সংক্রান্ত সংস্কারগুলোকে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচনের পর করা এবং অন্য সংস্কারগুলোকে অধ্যাদেশের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার আহ্বান জানান সাকি।
এদিকে একই দিন জাতীয় সমাজতানি্ত্রক দল-জেএসডির সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার ও নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে দলটি।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক জানান, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রণীত পাঁচটি স্প্রেডশিটে মোট ১৬৬টি প্রস্তাবের ওপর মতামত চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে জেএসডির পক্ষ থেকে ১২১টি প্রস্তাবের সাথে ঐকমত্য পোষণ, ১৭টির সাথে ভিন্নমত এবং ২৮টির সাথে আংশিক ঐকমত্য হয়েছে। এই ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ৬৮টি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে, ১৪টি নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে এবং ৮৪টি সংবিধান সংস্কার সভা ও আইন সভা নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়ে জেএসডি মতামত দিয়েছে।
আরএ