ইচ্ছাপূরণের দিন আজ

ছোটবেলায় মীনা কার্টুন সবাই দেখেছি। তবে মনে দাগ কেটে আছে মীনার সেই ইচ্ছা পূরণের পর্বটা। সেটা দেখে এবার হলেও আপনার মনে হয়েছে, ইসস! আমার যদি একটা দৈত্য থাকতো তাহলেও আমার ইচ্ছাগুলোও পূরণ হতো। দৈত্য থাকুক আর নাই থাকুক আজ কিন্তু চাইলেই আপনি আপনার সব সুপ্ত ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন। কারণ আজ ইচ্ছাপূরণের দিন বা ওয়ার্ল্ড উইশ ডে।

মানুষ বাঁচেই তার স্বপ্ন বা ইচ্ছাপূরণের জন্য। সেই ইচছাপূরণের জন্য মানুষ হারতে হারতে জিতে যায়। ইচ্ছা, স্বপ্ন, শখ, আকাঙ্ক্ষা, যাই বলি না কেন, এটিই মানুষের জীবনের জ্বালানি। ব্যক্তিভেদে ইচ্ছাটা বিশাল কিংবা খুব ছোট্ট হতে পারে । কিন্তু এর গুরুত্ব কোনোভাবেই কম কিছু নয়। মানুষ শখ বা স্বপ্নকে তুচ্ছ করে দেখে আসলে শখ কোনো তুচ্ছ করার বিষয় নয়!

আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ব ইচ্ছা দিবস, যাকে বলা হয় ওয়ার্ল্ড উইশ ডে। স্বপ্নপূরণের এই বিশেষ দিনের সূচনা যুক্তরাষ্ট্রের ‘মেইক অ্যা উইশ ফাউন্ডেশন’-এর হাত ধরে। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে এক ছোঁয়াচে গল্প—এক শিশুর ইচ্ছা আর সমাজের উত্তরে দাঁড়িয়ে যাওয়া।

মাত্র সাত বছর বয়সে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত ক্রিস গ্রেসিয়াসের মনে ছিল একটাই স্বপ্ন—পুলিশ হতে চাওয়া। ১৯৮০ সালের এই দিনেই, অ্যারিজোনার পুলিশ বিভাগ তাকে একদিনের জন্য সত্যিকারের পুলিশ অফিসারের সাজে সাজিয়ে সেই ইচ্ছাপূরণ করে।

এরপর ২০১০ সাল থেকে দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ইচ্ছা দিবস হিসেবে । এদিন, যেখানে প্রতিটি স্বপ্নকে সম্মান জানানো হয়, আর বলা হয়—ইচ্ছাগুলো শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবও হতে পারে।

পরিশেষে আপনার কাছে মীনার দৈত্য থাকুক আর নাই থাকুক, নিজ দমে নিজের ইচ্ছা পূরণ করতে হবে। মীনার মত শুধু ৩টি নয়, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বপ্নে দেখতে হবে এবং পূরণ করতে হবে। এদিন পূরণ করুন আপনার মনের সব ইচ্ছা।

আরআর/এসএন 

Share this news on: