গেল বছর আগস্টে নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের পর নতুন সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ। তবে এবারই বিসিবিতে তার সভাপতিত্বের শেষ মেয়াদ হোক, তা চান না তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফারুক জানিয়েছেন আসছে বিসিবি নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
তিনি অবশ্য নির্দিষ্ট একটি কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বোর্ডের ভেতরের কিছু মহল তাকে আটকে রাখতে চেষ্টা করেই যাচ্ছে। যার জবাব দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সূচি অনুসারে আগামী অক্টোবরে বিসিবির পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারও আগে বিসিবি সভাপতি চাইলে নির্বাচন দিতে পারেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
তবে সময়মতো নির্বাচন হলে সেখানে কি বিসিবির বর্তমান সভাপতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি খোলাসা করেন।
তিনি বলেন, ‘অক্টোবরে আমি নির্বাচন করব। কোনো একটি কোয়ার্টারে দুর্নীতি যারা করেছে ক্রিকেট বোর্ডে, এখনও চেষ্টা করছে আমাকে দমিয়ে রাখার। তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ ফারুক ভাইয়ের জন্য দুই চারটি কলাম লিখলে, দুইটা মিথ্যা কথা বলে বদনাম দিলে ওই ধরনের লোক রিজাইন করে চলে যাবে।’
তার অভিমত, বোর্ডে থেকে শেষ এক দশকে যারা দুর্নীতি করেছে, সে চক্র এখনও সক্রিয় আছে। সে চক্র এখন তাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তাদের জবাব দিতেই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও ফারুক জানান, দেশের ক্রিকেটের উন্নতিই তার একমাত্র এজেন্ডার। সে কারণে তার মনে হয়, বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে সরে দাঁড়ানো দেশের ক্রিকেটের সমস্যার সমাধান করবে না। বরং লড়াই করে টিকে থাকতে হবে তাকে।
তবে ফারুক আহমেদের অধীনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বেশ কিছু সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিপিএল আয়োজনে অব্যবস্থাপনা তার মধ্যে একটি। এছাড়াও মাঠের ক্রিকেটের গ্রাফও ক্রমশ নিম্নমুখী।
এসএম/টিএ