২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল দেশের প্রকৃত রিজার্ভ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বা প্রকৃত মজুত দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। দুই হিসাবে পার্থক্য ৫৩৬ কোটি ডলার।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “রিজার্ভ বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত ছিল নিট রিজার্ভ নির্ধারিত মাত্রায় রাখা। আশা করছি জুনের মধ্যে সেই শর্ত পূরণ করতে পারব।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নিট রিজার্ভ এখনও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার কম। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী জুন মাস নাগাদ নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়নের কিছু ওপরে থাকা জরুরি। বর্তমানে নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়নের কাছাকাছি অবস্থান করছে।

উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২২ সালের আগস্টে—৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে কমে গত বছরের জুলাইয়ে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ের রেখে যাওয়া ৩৭০ কোটি ডলারের মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়া বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন করে বকেয়া রাখার সুযোগও আর দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে বিদেশি ঋণের সুদ সংযোজনের পরও গত তিন মাসে বৈদেশিক ঋণ বাবদ দেনা প্রায় ৭৪ কোটি ডলার কমে ডিসেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৬৪ কোটি ডলারে।

রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভে এই উন্নতি এসেছে। রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ এবং প্রবাসী আয় বেড়েছে ১১ শতাংশ।


এসএস/এসএন

Share this news on: