পায়রা নদী থেকে মৃত ডলফিন উদ্ধার

বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা। শুক্রবার (২ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন পায়রা নদীর তীর থেকে একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার কাজে জেলেদের সহায়তা করেন ধরার তালতলী উপজেলা সমন্বয়ক আরিফুর রহমান।

জেলেরা জানান, উদ্ধার হওয়া ডলফিনটির শরীরে গভীর আঁচর, রক্তাক্ত লেজ ও কেটে যাওয়ার দাগ দেখা গেছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাছ ধরা ট্রলারের প্রপেলারের আঘাতে ডলফিনটি মারা গেছে।

জেলেরা আরো জানান, মৃত ডলফিনটি ৬ ফুট লম্বা এবং ৭০-৮০ কেজি ওজন হবে। এর আগে আমতলীর পায়রা নদীর শ্মশান ঘাট থেকে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। এর আগেও তালতলীর পায়রা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় ডলফিন উদ্ধার করা হয়।

তালতলী উপজেলা সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, ডলফিন মৃত পাওয়া মানে আমাদের সামুদ্রিক জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য এক ধরনের বড় হুমকি। সাগরে অতিরিক্ত ট্রলারের আগমন এবং দূষণ আমাদের জীববৈচিত্রকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এটি বন্ধের দাবী জানান তিনি। তিনি আরো জানান, মৃত ডলফিনটি তালতলী উপজেলা বন বিভাগের কর্মীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, ডলফিন মৃত অবস্থায় উদ্ধারের খবর পেয়েছি। বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মৃত ডলফিনটিকে পায়রা নদীর তীরে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের প্রফেসর মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, মৃত ডলফিনের ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন। শিল্প বর্জ্য, প্লাস্টিক, তেল ও বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান নদী ও সাগরে মিশে পানিকে দূষিত করায় নদী সাগর এখন প্রাণহীন হয়ে পড়ছে।

ডলফিন একটি সংবেদশীল জলজ প্রাণী। তারা দূষিত পানিতে টিকতে পারে না। এগুলোকে বাঁচানোর জন্য পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে এরকম প্রাণীদের আরো হারাতে হবে।

আরএম/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দলে ফিরলেন সাইফউদ্দিন, অভিষেকের অপেক্ষায় অঙ্কন Nov 23, 2025
img
প্রভাসের নতুন সিনেমা ‘স্পিরিট’-এর শুটিং শুরু Nov 23, 2025
img
নারী নির্যাতনের অভিযোগে মুফতি কাসেমী গ্রেপ্তার Nov 23, 2025
img
ইমাম-খতিবদের বেতন-ভাতা জাতীয় বেতন স্কেলে দেওয়ার আহ্বান Nov 23, 2025
img
ইতালিয়ান ফুটবলের পতনের জন্য রাজনীতিবিদদের দুষলেন কিংবদন্তি গোলরক্ষক বুফন Nov 23, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাম চরণের ‘চিকিরি চিকরির’ ঝড় Nov 23, 2025
img
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াত নেতাদের বৈঠক Nov 23, 2025
img
সুযোগ পেয়ে বার্সেলোনার তীব্র সমালোচনা করেন রিয়ালের প্রেসিডেন্ট Nov 23, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে: তারেক রহমান Nov 23, 2025
img
নতুন প্রেমে বাঁধন, শিগগিরই আনবেন প্রকাশ্যে Nov 23, 2025
img
ফের রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ, বিপর্যয়ে ৬ ট্রেনের সিডিউল Nov 23, 2025
img
ভারতীয় নাগরিক সখিনার জামিন , কারামুক্তিতে বাধা নেই Nov 23, 2025
img
২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা ঢাকা মেডিকেল কলেজ Nov 23, 2025
img
চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার Nov 23, 2025
img
ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর হবে : রাষ্ট্রপতি Nov 23, 2025
img
আমার মনে হয়েছে, শেখ হাসিনার আরো প্রোপার ডিফেন্স দরকার : আইনজীবী পান্না Nov 23, 2025
img
আসুন আমরা সকলে মিলে শান্তির পথ খুঁজি: শাহরুখ Nov 23, 2025
img
শিশুকে স্বপ্ন দেখাতে হবে, স্বপ্ন শেখাতে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা Nov 23, 2025
img
সারা দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হবে : ইসি সচিব Nov 23, 2025
img
ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে আলেমদের ব্যবহারের কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া যাবে না : রেজাউল করীম Nov 23, 2025