দেশকে এগিয়ে নিতে গবেষণার সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, "গবেষণাকে দেশের প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তুলতে হবে। আমাদের প্রয়োজন নিজের মতো একটি গবেষণা প্যাটার্ন গড়ে তোলা।"
শুক্রবার (২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘ডিইউ রিসার্চ এক্সিলেন্স রিকগনিশন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
অনুষ্ঠানে গবেষণা ও বুদ্ধিবৃত্তিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩০০ শিক্ষক ও গবেষককে সম্মাননা দেওয়া হয়।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, "দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’ হিসেবে পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।" আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা পরিচালনার জন্য তিনি গবেষকদের অভিনন্দন জানান।
প্রথম অধিবেশনে ‘উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগের গুরুত্ব’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমান, এডিবির প্রতিনিধি ফাইজা আহাদ এবং বিশ্বব্যাংকের শিক্ষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান।
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, "গবেষণায় দলাদলি চাই না, দলীয় রাজনীতি আমাদের ক্ষতি করেছে। আমরা আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উন্নীত করতে কাজ করছি। এজন্য র্যাঙ্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।"
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত এক বছরে দ্বিগুণ হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন ভিজিটিং প্রফেসর কাজ করছেন। ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ও গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এসএস