বড় পর্দায় আসছে 'ডাক্তার কাকু' — চিকিৎসার নামে লোভ না সেবা?

২০২৫-এর অন্যতম প্রতীক্ষিত ছবি হয়ে উঠছে 'ডাক্তার কাকু'। পরিচালক পাভেল তাঁর নতুন সিনেমায় হাজির হচ্ছেন এক অন্তর্লীন প্রশ্ন নিয়ে—চিকিৎসা কি কেবল পেশা, না কি সেবার ব্রত? ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে, যিনি এক নিঃস্বার্থ চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন—ডাক্তার দিলীপ সাহা, যাঁকে সবাই চেনে ‘ডাক্তার কাকু’ নামে।

ডাক্তার সাহা জীবনের সবটা উৎসর্গ করেছেন রোগীর সেবায়। কিন্তু একদিন যখন তাঁর স্ত্রী পারমিতা (ভূমিকায় শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়) মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, সেই মুহূর্তেও তিনি ব্যস্ত একজন রোগীর চিকিৎসায়। স্ত্রীর মৃত্যু তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে এক গভীর ধাক্কা এনে দেয়।

দুই ছেলে পুশকিন (ঋদ্ধি সেন) ও পচা (পরিচালক পাভেল নিজেই) বাবার অনুপ্রেরণায় চিকিৎসক হয়েও সময়ের সঙ্গে সাথে বেছে নেয় আরাম আর সুবিধের পথ। পিতার নীতি আর সন্তানদের বাস্তবতাবোধ—এই দ্বন্দ্বই হয়ে ওঠে ছবির মূল সুর।

ডাক্তার কাকুর জিজ্ঞাসা, “কর্তব্যের মধ্যে কোথায় মানবতা হারিয়ে যায়?” এই এক প্রশ্ন ছবির গোটা কাহিনিকে এক চেতনার রূপ দেয়।

ছবিতে আরও রয়েছেন এনা সাহা (মাম্পির চরিত্রে), রজতাভ দত্ত, তুলিকা বসু ও শ্রীলগ্না বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রথমবার পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ-শুভশ্রী জুটিকে, আর সেটাই এই ছবির অন্যতম বড় আকর্ষণ। প্রযোজনায় এনা সাহার ‘Zarac Entertainment’। ছবির ডাবিং ইতিমধ্যেই শেষ। পরিচালক জানিয়েছেন, চলতি বছরেই মুক্তি পাবে 'ডাক্তার কাকু'—সম্ভবত শরৎ বা পুজোর মরশুমেই।

চিকিৎসা পেশার নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ আর পারিবারিক সম্পর্কের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে তুলেছে এই ছবি। কোথাও যেন পরিচালক পাভেলের নিজের জীবনের সঙ্গেও এই গল্পের একটা আত্মজীবনীমূলক মিল আছে, যা ছবিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।

‘ডাক্তার কাকু’ কেবল এক চিকিৎসকের গল্প নয়—এ এক মূল্যবোধের প্রশ্ন, যা আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে প্রতিধ্বনিত হবে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ