অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ফেসবুক টাইমলাইনে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, হেফাজতে ইসলামের বড় কোনো সমাবেশ দেখলেই তার চোখে ভেসে ওঠে সেই ভয়াবহ ঘটনার চিত্র।
তিনি জানান, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর পক্ষ থেকে তিনি তখন ঢাকায় কর্মরত বিবিসির সাবেক সংবাদদাতা মার্ক ডামেটের সঙ্গে যৌথভাবে এই স্পর্শকাতর বিষয়ের তদন্তে নামেন। যখন পুরো বিশ্ব এই হত্যাকাণ্ডে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে তা নিয়ে দ্বিধায় ছিল, তখন তারা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসেন যে দুই দিনব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫৮ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সাতজন ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
আজাদ মজুমদার বলেন, আজ যারা মানবাধিকার বা সাংবাদিকতার কাজে যুক্ত, তারা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না সেই সময় মাঠে কাজ করার ঝুঁকি কতটা ছিল। দুই সপ্তাহ ধরে তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছেন, হাসপাতালের নথিপত্র বিশ্লেষণ করেছেন, নিহতদের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন, এমনকি কবরস্থানে গিয়েও প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। মানুষের মুখ থেকে সত্য বের করে আনা ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ, আর সেই সময় প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে পড়ে যাওয়ার ভয়ও তাড়া করে ফিরেছে।
নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি এতদিন তার এই কৃতিত্ব প্রকাশ করেননি বলেও জানান। তবে আজ যখন অন্য সাংবাদিকেরা তার করা কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন, তখন তিনি ভীষণ আনন্দ অনুভব করেন। তার মতে, এটি তার কর্মজীবনের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত।
আরএম/এসএন