শনিবার পহেলগাঁও ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চেয়েছিলেন। রবিবার সকাল থেকে অন্য একটি কারণে ফের চর্চায় বিজয় দেবরকোন্ডা! তাঁর চর্চিত প্রেমিকা রশ্মিকা মন্দনাকে সমাজমাধ্যমে আর অনুসরণ করছেন না তিনি। এ খবর চাউর হতেই নড়ে বসেছেন দুই অভিনেতার অনুরাগীরা। হঠাৎ এমন কী হল যে প্রেম ভেঙে খানখান? প্রশ্ন উঠেছে বিনোদন দুনিয়ার অন্দরে। গুঞ্জন শুরু হলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি বিজয়-রশ্মিকা— কেউই।
রবিবার সকালে আচমকাই সংবাদমাধ্যমের চোখ যায় অভিনেতার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে। তাঁরা দেখেন, বিজয় ৩৫ জনকে অনুসরণ করছেন। তাঁদের মধ্যে রশ্মিকা নেই! সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে খবর। কোথা থেকে কী হয়ে গেল? বুঝতে পারছেন না কেউ। অথচ দিন কয়েক আগেও তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল। সরাসরি মুখে স্বীকার না করলেও নেপথ্যের পটভূমিকা বলে দিচ্ছিল, কখনও তাঁরা একই হোটেলে দুপুর বা রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করছেন। একই সঙ্গে ছুটি নিয়ে একই জায়গায় বেড়াতেও যাচ্ছেন! নতুন বছরের শুরুতে দেবরকোন্ডা সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেন, তিনি আর ‘সিঙ্গল’ নন। প্রেমিকার নাম না বললেও এর পরেই নায়িকাকে দেখা যায় বিজয়ের পরিবারের সঙ্গে দুপুরে একসঙ্গে সময় কাটাতে। একাধিক অনুষ্ঠানেও দুই পরিবারকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। সে সবই কি তা হলে মিথ্যা?
এ ভাবেই কোনও না কোনও ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে খবরের শিরোনাম দক্ষিণী তারকা। কখনও তিনি ভিকি কৌশল অভিনীত ‘ছাওয়া’ দেখে জানিয়েছেন, ঔরঙ্গজেবকে তিনি কষিয়ে চড় মারতে চান! মরাঠাদের উপরে তাঁর অত্যাচারের কারণেই অভিনেতার এই মন্তব্য, এ কথাও জানান তিনি। এর পরেই তিনি তাঁর আগামী ছবির প্রচার অনুষ্ঠানে গিয়ে পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। বিজয় বলেন, “পাকিস্তানকে আক্রমণ করার কোনও প্রয়োজনই মনে করে না ভারত। তার কারণ, পাকিস্তানের মানুষই নিজেদের সরকারকে নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। পাকিস্তান তো ৫০০ বছর আগের আদিবাসীদের মতো আচরণ করে। কোনও উপস্থিত বুদ্ধি ছাড়াই ওরা যুদ্ধ করতে নামে।” কাশ্মীর প্রসঙ্গে অতীতে আদিবাসীদের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের তুলনা করতেই তাঁর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশেষ সম্প্রদায়। অভিনেতার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তার জেরে শনিবার অভিনেতা সমাজমাধ্যমে লিখিত বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। তাঁর বক্তব্য, বক্তব্য, “আভিধানিক এবং ঐতিহাসিক অর্থে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার করেছি। কারণ, পৃথিবী এক সময় বিভিন্ন উপজাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। তার সঙ্গে আজকের তফসিলভুক্ত জনজাতির কোনও সম্পর্ক নেই। এই তফসিল তৈরি করেছিল ইংরেজরা। যা মাত্র ১০০ বছর আগে তৈরি করা হয়।”
এসএন