আসন্ন আরব আমিরাত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। সবমিলিয়ে ৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বাংলাদেশের সামনে। যেখানে নতুন করে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন লিটন দাস। দলে রয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তবে সুযোগ হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের। জাতীয় দলে এই দুই সিদ্ধান্তের ব্যাখাও অবশ্য দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
সবশেষ বিপিএলে অধিকাংশ সময় বেঞ্চে কাটাতে হয়েছে দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক শান্তকে। তবে জাতীয় দলে থাকা নিয়ে লিপু বলেন, ‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। আপনি দলটার দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার অভিজ্ঞতাও দরকার। ওপরে আমাদের সৌম্য আছেন। ৯০-এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছেন। লিটন দাস আছেন। এরপর আপনি তাকান, তাহলে দেখবেন যে বিস্তর ফারাক হয়েছে। শান্তর ৫০ হয়নি। ৪০-এর আশেপাশে ম্যাচ। তাই কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলের সঙ্গে আপনার নিতে হবে।’
মিরাজের না থাকা নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘মিরাজ আমাদের জাতীয় দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে সেটার প্রতিফলন হয়েছে। শুধু জাতীয় দলে না। এরই মধ্যে বিশ্বকাপে আপনারা দেখবেন যে একটু পিছিয়ে রেখেছিলাম মিরাজকে। একজন ক্রিকেটার যদি চোটে পড়ে যান, তিন সংস্করণের জন্যই তিনি পিছিয়ে পড়েন। এখানে যে পাঁচ বোলার থাকবে, সবাইকে চার ওভার করে বোলিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেখ মেহেদী কিছুটা এগিয়ে আছেন।’
দলের বাকিদের নিয়ে লিপু বলেন, ‘একই সঙ্গে আমাদের হাতে যদি সুযোগ থাকত যে নাহিদ রানা যথারীতি আমাদের সঙ্গে আছে, তাহলে কিন্তু পাঁচ সিমারের জায়গায় চার পেসার নিতে পারতাম। সেখানে একটা ব্যাটার বাড়াতে পারতাম। সেই সুযোগটা আমাদের কাছে ছিল না। আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। লিটন দাস যদি তিন নম্বরে থাকেন, তাহলে মিডল অর্ডারে খেলার জন্য তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও অনিক আছেন।'
লিপু আরও যোগ করেন, 'তার পাশাপাশি শান্তর নামটাও আছে। তাই আরেকটা নাম জায়গা দেওয়ার সুযোগ আমাদের ছিল না। সুযোগ থাকলে আমি তাকে নিতাম। তিনি আমাদের টি-টোয়েন্টির পরিকল্পনায় একটু পেছন দিকে আছেন। কিন্তু তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চমৎকার ক্রিকেটার। তাকেও আমরা খেলার মধ্যে রাখব। যাতে তিনি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে না থাকেন।'
টিকে/টিএ