গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হাসনাত ভাই আমার ভাই, আহত কেন, ইন্টারিম জবাব দে’, ‘জুলাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ অনেক জাতীয় নেতাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও ভারত প্রশ্নে কঠোর অবস্থান ধরে রেখেছেন। এসময় তারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসনাতের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ এবং ভারতের প্রশ্নে কঠোর অবস্থান ধরে রেখেছেন। তারা অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসনাতের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। আমরা তাদেরকে চাঁদাবাজ, লুটেরা হিসেবে জানি। তারা এই জুলাই অভ্যুত্থানে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা তাদের রাজনীতিতে নয়, বাংলাদেশেই দেখতে চাই না।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, হাসনাতের ওপর হামলা মানে পুরো জুলাই আন্দোলনের ওপর হামলা। সরকার একে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের উচিত অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
তিনি বলেন, আমরা বলে দিতে চাই, দিল্লির প্রেসক্রিপশনে এ দেশে কোনো রাজনীতি হবে না। যদি আপনারা অবিলম্বে জুলাই প্রোক্লেমেশন ঘোষণা করতে না পারেন তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের মতো আবারও ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে আসবে।
এসএম