তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতেই নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার (৫ মে) সকালে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.৩ ওভারে মাত্র ১৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৭.২ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ৬১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। আরেক প্রান্তে ২৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দলের স্কোয়াডকে মোটামুটি ছায়া জাতীয় দল বলাই যায়। ঘরের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে বল হাতে নিজেদের শক্তিমত্তা ভালোভাবেই জানান দিল টাইগারদের ‘এ’ দল।
দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে এবাদত-খালেদ-শরিফুলদের তোপের মুখে পড়ে কিউই ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। পঞ্চাশের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এরপর একশ’র আগেই ৯ উইকেট হারায় তারা। শেষ উইকেট জুটি থেকে আসে ৬২ রান। আর তাতেই ১৪৭ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। মোহাম্মদ নাঈম ও পারভেজ হোসেন ইমনের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩০ রান। ১২ বলে ২৪ রান করে ইমন ফিরলে ভাঙে এ জিসে
দলীয় ৫৩ রানে নাঈমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ক্লার্কের বলে লেনক্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ১৮ রান। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে এগোতে থাকেন সবশেষ ডিপিএলে দারুণ পারফর্ম করা এনামুল হক বিজয়। তারা দুজন স্কোর নিয়ে যান ১০৮ রানে।
৪৫ বলে ৩৮ রান করে ফক্সক্রফটের বলে ক্লার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বিজয়। এরপর আর উইকেট পড়েনি বাংলাদেশের। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে সাথে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ১৩৬ বল বাকি থাকতেই জয় ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। শরিফুল, খালেদ ও এবাদত মিলে মাত্র ৪৮ রানে ৫ উইকেট ফেলে দেন সফরকারীদের। এদের মধ্যে ডেলে ফিলিপস, ম্যাথু বয়েল, মোহাম্মদ আব্বাস ও নিক কেলি রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
তবে আরেকদিকে রেইস মারিউ একাই লড়ছিলেন। তাকে স্টাম্পিংয়ের শিকার বানিয়ে বিদায় করেন তানভীর ইসলাম। ৫০ বলে ৭ চারে ৪২ রান করে আউট হন এই ওপেনার।
পরের ওভারে ফিরে মাইকেল হে এবং ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ককে পরপর দুই বলে বিদায় করেন তানভীর। মাত্র ৬২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে শতরানের নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় কাঁপছিল কিউইরা।
৮৫ রানে নবম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৯ রান করা জেডেন লেনক্সকে ফেরান খালেদ। তবে ডিন ফক্সক্রফট একাই লড়ে গেছেন। শেষ উইকেট জুটিতে বেন লিস্টারকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন তিনি, যেখানে লিস্টারের অবদান ১০ বলে ৪ রান।
শেষ ব্যাটার হিসেবে এবাদতের বলে আউট হওয়ার আগে ৬৪ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রান করেন ফক্সফোর্ট। বাংলাদেশের হয়ে খালেদ ও তানভীর ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। বাকি ৪টি উইকেট শরিফুল ও এবাদত সমান ভাগে ভাগ করে নেন।
টিকে/এসএন