ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই সভাপতি পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে তজুমুদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তজুমুদ্দিন উপজেলা শহরের ফাজিল মাদরাসা মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে কথা জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সোমবার বিকেলে তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু ও সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে সম্মেলনস্থলে যোগ দেন এবং সম্মেলন শেষ করেন। কমিটিতে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাহিদুল ইসলাম দিদার ও অরবিন্দু টিটু।
সম্মেলনে দুইজন সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা নেতারা ওই দুই প্রার্থীকে নিয়ে সম্মেলনস্থলের পাশের একটি কক্ষে যান এবং সেখানেই তারা আলোচনা শুরু করেন। ভেতরে আলোচনা চলাকালীন বাইরে দিদার পক্ষ ও টিটু পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনার জেরে তজুমদ্দিন উপজেলা শহরে সন্ধ্যায় ফের বিক্ষোভ মিছিল করেন দুই পক্ষের লোকজন। এতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপজেলা শহর,পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ঘটনায় ওই ইউনিয়ন বিএনপি পদপ্রার্থী অরবিন্দু টিটু প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, সম্মেলনস্থলে আমার ব্যাপক জনসমর্থন ছিল। প্রতিপক্ষের কোনো জনসমর্থন না থাকায় পরিকল্পিতভাবে মাদরাসার মাঠের গেট আটকিয়ে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করেছেন। এ হামলার বিচার চাই।
আরেক প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম দিদার করে বলেন, বহিরাগতদের এনে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমার ১৫-২০ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার সুঠু তদন্তের মাধ্যমে তিনিও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তজুমুদ্দিন উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, সম্মেলনে দুইজন সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় সম্মেলন শেষে দুজনকে নিয়ে পাশের একটি কক্ষে আলোচনায় বসেছিলাম, এরই মধ্যে বাইরে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। তারা দলের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। শান্তিপূর্ণ সম্মেলনে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্মেলন স্থগিত রয়েছে।
তবে তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান গণমাধ্যমকে বলেন, এ সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএম/এসএন