গভীর রাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়া ও শ্যামপুর এলাকার দুটি গুদামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সোমবার ( ৫ মে ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে উদ্ধার করা হয় খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বিপুল পরিমাণ চাল ও আটা।
তদন্তে জানা যায়, 'আর কে এন্টারপ্রাইজ' নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চাল ও আটা গোপনে সংগ্রহ করে খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত বস্তাগুলোর মোড়ক পরিবর্তন করে নতুন নাম দেয় ‘নূরানী আটা’ ও ‘নূরানী চাল’। পরে এই ভেজাল ব্র্যান্ডের চাল ও আটা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হতো। অভিযানে দুটি গুদাম থেকে প্রায় ২৬ টন আটা ও ১৬ টন চাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত চাল ও আটা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলোর গায়ে স্পষ্টভাবে খাদ্য অধিদপ্তরের সিল ও চিহ্ন ছিল, যা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রীয় মালামাল চুরির প্রমাণ বহন করে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতির খবর পেয়ে গোডাউনের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনার সঙ্গে যেসব ব্যক্তি ও চক্র জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যৌথ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, "আমরা যাদের হাতেনাতে ধরেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখান থেকেই আমরা জানতে পারব কোন চক্রটি এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। গরীব মানুষ তাদের প্রাপ্য খাদ্যসামগ্রী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। ইনশাআল্লাহ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।"
অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ সময় ট্রাফিক শৃঙ্খলা না মানার অভিযোগে একাধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনগণের স্বার্থে এবং অপরাধ দমনে যৌথ অভিযান চলমান থাকবে।
আরএম/এসএন