আজ বুধবার (৭ মে) থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ বিমানযাত্রার জন্য ‘রিয়েল আইডি’ নামক রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। এই আইডি কার্ডটি শুধুমাত্র বিমানে উঠার জন্যই নয়, বরং নিরাপত্তা-সংবেদনশীল যেকোনও ফেডারেল স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হবে। প্রতিটি ‘রিয়েল আইডি’র ওপরের ডান পাশে একটি তারকা চিহ্ন থাকবে।
ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(টিএসএ) জানিয়েছে, যেসব ড্রাইভারদের লাইসেন্স বা ‘রিয়েল আইডি’ নেই, তারা আর বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না।
তবে, যদি কেউ বুধবার (৭ মে) ‘রিয়েল আইডি’ ছাড়া বিমানবন্দরে পৌঁছান, তারা তাও ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা যাচাইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
৭ই মে’র পরেও ‘রিয়েল আইডি’ বানানো যাবে। টিএসএ-র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্টিভ লরিনজ নিশ্চিত করেছেন, যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে না।
নিরাপত্তা প্রক্রিয়া একটু বেশি সময় নিতে পারে, তবে আমরা তা দক্ষতার সাথে করব।
এই নতুন নিয়মটি মূলত ২০০৫ সালের ‘রিয়েল আইডি’ আইনের বাস্তবায়ন, যা ৯/১১ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নিরাপত্তা জোরদারের জন্য চালু হয়েছিল। এখনও প্রায় ১৯% মার্কিন যাত্রীর কাছে ‘রিয়েল আইডি’ নেই। ‘রিয়েল আইডি’ দেওয়ার প্রক্রিয়া আমেরিকার রাজ্যভেদে আলাদা।
এখন থেকে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের যাত্রীদের বিমানবন্দরে বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। যেসব বিকল্প পরিচয়পত্র গ্রহণযোগ্য তা হলো: মার্কিন পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট কার্ড, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড, বর্ডার ক্রসিং কার্ড, ভেটেরান হেলথ আইডেন্টিফিকেশন কার্ড। পরিচয়পত্র না থাকলে বা গ্রহণযোগ্য না হলে, টিএসএ পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যাত্রীকে প্রবেশ করতে দেবে। তবে অতিরিক্ত স্ক্রিনিংয়ের সম্ভাবনা থাকবে।
টিএসএ যাত্রীদের প্রস্তুত থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
এসএম/টিএ