ছেলেমেয়ে ছাড়া মরিশাসে ঘুরতে যাওয়ায় শুভশ্রী-রাজ দম্পতিকে নিয়ে বিতর্ক

কখনও মেয়ে আধোআধো স্বরে উচ্চারণ করছে নিজের নাম। কখনও ছেলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সারা বাড়ি। অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সমাজমাধ্যমের পাতায় প্রায় প্রতি দিনই দেখা যায় ছেলেমেয়ের নানা মুহূর্ত। দিনকয়েক আগে পর্যন্ত দুই খুদের ছবিতে ভর্তি ছিল নায়িকা, পরিচালকের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। কিন্তু গত তিন-চার দিনে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না ইউভান আর ইয়ালিনির ছবি। বরং রাজ-শুভশ্রীর একের পর এক রোম্যান্টিক মুহূর্তই দেখা যাচ্ছে বেশি। কখনও সমুদ্রতটে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নায়িকা। কখনও আবার স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন। একের পর এক কাজ করে চলেছেন শুভশ্রী। রাজও ব্যস্ত তার কাজ নিয়ে। এর ফাঁকেই নিজেদের জন্য সময় করে নিয়েছেন তারা।

কিন্তু শুধু দু’জনের ছবি দেখে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই জানতে চেয়েছেন ছেলেমেয়ে কোথায় গেল? কয়েক মাস আগে আমেরিকা গিয়েছিলেন তারা। তখন সঙ্গে গিয়েছিল ছেলে ইউভান। নিয়ে যাননি ইয়ালিনিকে। তাতেই উঠেছে প্রশ্ন। দর্শকের একাংশের মন্তব্য, “বাড়িতে ছেলেমেয়েকে রেখে চলে গেলেন!” এক এক অনুরাগী বলেছেন, “সন্তানকে রেখে ঘুরতে যেতে ভাল লাগে?” কাউকে কোনও উত্তর দেননি তারকাদম্পতি।






তবে, ব্যস্ত অভিভাবকেরা কাজে গেলে সন্তানেরা আজকাল বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের সঙ্গেই থাকে। রাজ-শুভশ্রীও এর আগে জানিয়েছিলেন ঠাকুমা, পিসি, দিদিদের সঙ্গে দুই খুদে খুব ভাল থাকে। তাই ছেলেমেয়েকে বাড়িতে রেখে নিজেদের জন্য একান্ত সময় বেছে নিয়েছেন তারা।

মরিশাসে বিলাসবহুল ভ্রমণের কিছু ঝলক পেয়েছে দর্শকও। সেখানে যে হোটেলে রয়েছেন তারা সেখানে রয়েছে সব অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। রাজ-শুভশ্রী যে হোটেলে থাকছেন হিসাব বলছে, প্রতি রাতে তার ভাড়া প্রায় ৫৩ হাজার টাকা। ব্যক্তিগত সমুদ্রতটে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন তারা। এই মুহূর্তে টলিপাড়ার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী শুভশ্রী। ‘গৃহপ্রবেশ’ মুক্তির পরেই নায়িকা শুরু করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির কাজ। আবার অগস্টে মুক্তি পাবে তার অভিনীত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধূমকেতু’।

এসএম/টিকে


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ বের করুন, মেটাকে ড. ইউনূস Jun 25, 2025
img
মালয়ালম সিনেমায় কায়াদু লোহার-টোভিনোর নতুন জুটি Jun 25, 2025
img
রামায়ণে রণবীর কাপুর দেবতা রাম, সাই পল্লবী সীতা, মহা উন্মোচনের প্রস্তুতি Jun 25, 2025
img
ট্রাম্পের দাবি মেনে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়াতে সম্মত ন্যাটো দেশগুলো Jun 25, 2025
img
ইরানে ৭ শতাধিক গুপ্তচর গ্রেপ্তার, পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড Jun 25, 2025
img
ঢাকায় হবে দক্ষিণ এশীয় উচ্চশিক্ষা সম্মেলন, নেতৃত্বে থাকবে বাংলাদেশ Jun 25, 2025
img
ইরানের হামলায় বেন-গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় এখন ধ্বংসস্তূপ Jun 25, 2025
img
অপ্রয়োজনীয় মেগা অবকাঠামো ভেঙে ফেলা উচিত : বাণিজ্য উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
যে কারণে নিজের ছবিকে ‘ওয়ার্নিং’ বললেন অজয় Jun 25, 2025
img
কবে বসছেন ইরানের সঙ্গে, জানালেন ট্রাম্প Jun 25, 2025
img
জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
এক কাউয়া পালিয়ে গেছে, নতুন কাউয়াদের আবির্ভাব হয়েছে : প্রিন্স Jun 25, 2025
img
সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা Jun 25, 2025
img
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের আহ্বান আইজিপির Jun 25, 2025
img
দেশের রিজার্ভ ছাড়াল ২৭ হাজার ৬৭২ মিলিয়ন ডলার Jun 25, 2025
img
চাপের মুখে বাধ্য হয়ে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প: ইরানি গণমাধ্যম Jun 25, 2025
img
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাচনে সভাপতি রিফাত, সম্পাদক ইনামুল Jun 25, 2025
img
প্রবাসী গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সেবা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক Jun 25, 2025
img
হাসনাত আব্দুল্লাহকে বাংলাদেশের ‘জোহরান মামদানি’ আখ্যা দিলেন পিনাকী Jun 25, 2025
img
পরমাণু প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, স্বীকার করল ইরান Jun 25, 2025