মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারত। দিল্লির দাবি, পহেলগাম হামলাসহ পাকিস্তানের 'নিরবচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদী প্রশ্রয়'-এর জবাব দিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
বুধবার সকালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’ বা পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতি যতটা কম রেখে শুধুমাত্র 'সন্ত্রাসবাদী' ঘাঁটি ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলেও ভারত দাবি করেছে, যেটাকে তারা ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ বলে বর্ণনা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এবং সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থলবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং—দুজনেই নারী কর্মকর্তা।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, পহেলগামের ঘটনায় ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সংগঠন দায় স্বীকার করেছে, যা লস্কর-ই-তৈবার ঘনিষ্ঠ।
হামলার ছবি বিভিন্ন পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে প্রকাশিত হওয়ায়, এতে পাকিস্তানের সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে বলে ভারতের দাবি।
পাকিস্তান যে ভারতের একাধিক বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, সে বিষয়ে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি। অভিযান চলাকালে ভারতের কোনো
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা-ও জানানো হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়নি, যা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিক্রম মিশ্রি আরো বলেন, শুধু পহেলগাম নয়, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা (২৬/১১)সহ অতীতে ভারতে সংগঠিত নানা সন্ত্রাসী হামলার জন্য যেসব ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রকে দায়ী করে ভারত, সেসব একাধিক লক্ষ্যবস্তু গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকাল দশটায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে গিয়ে তাকে সর্বশেষ সামরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এর আগেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
আরআর/টিএ