বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন-মানোন্নয়নে ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন

চট্টগ্রামে টার্নকি ভিত্তিতে পৃথক ২টি লটে উপকেন্দ্র স্থাপন, মানোন্নয়ন ও বে-সম্প্রসারণ এবং ৩৩ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ডাবল সার্কিট সোর্স লাইন নির্মাণসহ উপকেন্দ্র ২টির অটোমেশন কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৮৪ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪ টাকা।

বুধবার (৭ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চট্টগ্রাম জোন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং জিডি-১ লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র স্থাপন, মানোন্নয়ন ও বে-সম্প্রসারণ এবং ৩৩ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল ডাবল সার্কিট সোর্স লাইন নির্মাণসহ উপকেন্দ্র অটোমেশন কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পটি ৪৯৮ কোটি ৪৩ লাখ ১২ হাজার ৩৮৮ টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে এসপিটিডিই এবং রিভেরি বাংলাদেশ।

এই ক্রয় প্রস্তাবে ৭টি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপন, ৪টি উপকেন্দ্র মানোন্নয়ন, ৫টি বে-সম্প্রসারণ এবং ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩৩ কেভি এক্সএলপিই ১৮০০ মিলিমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন স্থান কাজ হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের অপর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে একই প্রকল্পের লট-৩ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্র স্থাপন, মানোন্নয়ন ও বে-সম্প্রসারণ এবং ৩৩ কেভি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ডাবল সার্কিট সোর্স লাইন নির্মাণসহ উপকেন্দ্রের অটোমেশন কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পটি ৪৮৬ কোটি ৩৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৬৬ টাকা ব্যয়ে যৌথভাবে রিভেরি এবং নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল-ডিকে বাংলাদেশের বাস্তবায়ন করবে।

এই ক্রয় প্রস্তাবে ৫টি নতুন উপকেন্দ্র স্থাপন, ২টি উপকেন্দ্র মানোন্নয়ন, ২টি বে-সম্প্রসারণ এবং ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩৩ কেভি এক্সএলপিই ১৮০০ মিলিমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড লাইন স্থান কাজ হবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পুনরায় আকাশসীমা চালু করল ইরান Jul 04, 2025
img
এনসিপি একবারও বলেনি যে নির্বাচন পেছাতে হবে বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না : নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী Jul 04, 2025
দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ বাজি মারল টিজারেই! Jul 04, 2025
পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ছক্কাই আমির খানের বিয়ের ‘ভিলেন’? Jul 04, 2025
জায়েদ খানের সঙ্গে আসছেন তানজিন তিশা Jul 04, 2025
img
আসছে নিথিনের 'থাম্মুদু' Jul 04, 2025
img
ইলন মাস্ককে নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যে নতুন বিতর্কের ঝড় Jul 04, 2025
img
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে ক্লান্ত রোজলিন খান, ইনস্টাগ্রামে জানালেন মনের কথা Jul 04, 2025
img
গাজায় গণহত্যা চালাতে ‘ক্ষুধা’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল Jul 04, 2025
img
কবির বনাম ভিক্রম, ‘ওয়ার ২’ আনছে টার্মিনেটর ঘরানার সংঘর্ষ Jul 04, 2025
img
বিশাল ভরদ্বাজের ছবিতে প্রথমবার জুটি বাঁধছেন শাহিদ-দিশা Jul 04, 2025
img
১৫ কেজি গাঁজা রেখেই পালাল মাদক কারবারী Jul 04, 2025
img
কোনো ফৌজদারি অপরাধে রাষ্ট্রপতির এককভাবে ক্ষমা প্রদানের ক্ষমতা থাকা উচিত নয় : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ Jul 04, 2025
img
১৮তম জন্মদিনে কঠোর গোপনীয়তায় জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করছেন ইয়ামাল Jul 04, 2025
img
কোভিড টেস্টে স্বস্তি, কমল পরীক্ষার খরচ Jul 04, 2025
img
মালদ্বীপে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট ইস্যু ও সংশোধনে নতুন নির্দেশনা Jul 04, 2025
img
বাবার মৃত্যুর পর ‘কৃষ্ণারাজ’ পেল রনবীর, আর ঋদ্ধিমা! Jul 04, 2025
img
একাধিক ইস্যু নিয়ে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ Jul 04, 2025
img
বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে হতবাক টাইগারদের সাবেক কোচ Jul 04, 2025
img
যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন নেতানিয়াহুর ছেলে! Jul 04, 2025