ভারতের সামরিক অভিযান অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উত্তেজনা আরও বাড়ানোর চেষ্টা ভারতীয় সেনাবাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভারতীয় গণ্যমাধ্যম ডব্লিউআইওএন নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
পাকিস্তান উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় ৭-৮ মে রাতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভুজ শহর ছিল পাকিস্তানের টার্গেটে। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানী বাহিনী এই হামলা পরিচালনা করতে চেয়েছিল। তবে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় এবং অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে "নিরপেক্ষ" করা হয়।
ভারতের নোডাল প্রেস সংস্থা পিআইবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "পাকিস্তানের উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। ধ্বংস হওয়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে, যা হামলার স্পষ্ট প্রমাণ।" ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা উত্তেজনা বাড়াতে চায় না, তবে পাকিস্তান যদি আক্রমণ চালায় তাহলে উপযুক্ত জবাব দিতে পিছপা হবে না।
এদিকে, পাকিস্তানের ভেতরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। লাহোরের ওয়ালটন রোড সংলগ্ন সামরিক বিমানবন্দরের কাছে, গুজরানওয়ালার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এবং করাচির শরাফি গোথে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যার ফলে এই বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে। লাহোর, গুজরানওয়ালা, চকওয়াল, রাওয়ালপিন্ডি, বাহাওয়ালপুর ও করাচিসহ অন্তত ১২টি স্থানে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান।
এই নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া উভয় পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিস্থিতি যদি দ্রুত শান্ত না করা হয়, তাহলে উপমহাদেশে আবারও বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। কূটনৈতিক সংলাপ ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাই এখন সংকট নিরসনের প্রধান উপায় বলে মনে করা হচ্ছে।
এসএন