ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তিনি জানিয়েছেন, এই সংঘাতকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের বিষয় হিসেবে দেখছে না। শুক্রবার (৯ মে) সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবালের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, “ওয়াশিংটন চায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা কমুক। তবে এটি মূলত আমাদের বিষয় নয়। আমরা চাই দুই দেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটুক, কিন্তু এমন কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না, যার সঙ্গে আমাদের স্বার্থ জড়িত নয় বা যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।”
ভ্যান্স আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তবে তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি দুই দেশকেই জানি। আমি চাই তারা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করুক এবং সংঘাত বন্ধ করুক।”
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর জেরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় ভারত। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তানের হামলার লক্ষ্য ছিল জম্মু, পাঠানকোট ও উধমপুরের সামরিক ঘাঁটি। তবে ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলো প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান এসব দাবি অস্বীকার করেছে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর একজন কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেন, “ভারতীয় মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে। করাচি বন্দরে হামলা বা পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর পুরোপুরি ভিত্তিহীন।”
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা ঘিরে উভয় দেশ যখন সরব, তখন যুক্তরাষ্ট্র বরং নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করছে — এমনটি স্পষ্ট হয়েছে তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্যে।
টিকে/টিএ