আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা অতি দ্রুত আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতসহ দলটি নিষিদ্ধের দাবি জানান।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিশ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তারা ‘জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ’২৪-এর বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু আন্দোলনের প্রায় এক বছর হলেও এখনো আওয়ামী লীগের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হাজারো ছাত্র-জনতা আন্দোলনে রক্ত দিয়েছে। এই সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু আমরা যখনই আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ চাই তখন সরকার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কথা বলে। কিন্তু তারা এটা ভুলে গেছে, কোনো নিয়ম মেনে আওয়ামী লীগের পতন করা হয়নি। ছাত্র-জনতা তাদের টেনে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে। এখন দেশের প্রতিটি জায়গায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু সরকার তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সরকারকে বলতে চাই, আর কত রক্তের পরে আপনারা আওয়ামী লীগের বিচার করবেন, তাদের নিষিদ্ধ করবেন। কালবিলম্ব ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

সহসমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে এবং সারা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে তাদের সঙ্গে কোনো আপস নাই। গণহত্যার বিচারসহ দলটি নিষিদ্ধের দাবি জানাই। আমরা রাজপথে থেকে স্বৈরাচারকে তাড়িয়েছি। প্রয়োজনে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিচারকদের কলমবিরতি পালন কর্মসূচি প্রত্যাহার Nov 16, 2025
img
চাঁদাবাজির সময় ইউপি সদস্যসহ আটক ১০ Nov 16, 2025
img
বেহেশতের কথা বলে ভোট চাওয়া দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: আমান উল্লাহ Nov 16, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় সাবেক ভিসিসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আজ ১৪তম দিনের সাক্ষ্য Nov 16, 2025
img
গাড়ি থেকে লোহার রড ছুটে এসেছিল বিবেকের দিকে Nov 16, 2025
img
রাজধানীতে সকালের তাপমাত্রা ১৯.৪ ডিগ্রি, আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা Nov 16, 2025
img
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Nov 16, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনকে অর্থবহ করতে আগে গণভোট প্রয়োজন: ড. হেলাল উদ্দিন Nov 16, 2025
img
ভারতে উচ্ছেদ অভিযানে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালো বিএসএফ Nov 16, 2025
img
আজও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষণে শীর্ষে দিল্লি Nov 16, 2025
img
জর্জিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে স্পেন Nov 16, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন আজ দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ Nov 16, 2025
img
বান্দরবান রেইচা আর্মি ক্যাম্প চেকপোস্ট থেকে ৬ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক Nov 16, 2025
img
জানি বহিষ্কার হব, তারপরও আমি নির্বাচন করব : তাইফুল ইসলাম টিপু Nov 16, 2025
img
১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ আজ Nov 16, 2025
img
পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪ নেতা Nov 16, 2025
img
ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা Nov 16, 2025
img
১০ বছর পর আবার ফিরছেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ এর সেই মুন্নি Nov 16, 2025
img
পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ৩য় ওয়ানডে আজ Nov 16, 2025
img
সকালে যে মসলা খেলে ওজন ও রক্তে শর্করা থাকবে নিয়ন্ত্রণে, আর কমবে কোষ্ঠকাঠিন্য Nov 16, 2025