বয়স তার মুখের রেখায় ধরা দেয় বটে, তবু আবেদন কমে না একটুও। তিনি মাধুরী দীক্ষিত। নব্বইয়ের দশক মানেই অন্যরকম উন্মাদনা আর মাধুরী মানেই যেন হৃদয়ের কম্পন। একটা সময় যিনি চলচ্চিত্র দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সেই তিনিই একদিন সবকিছু ছেড়ে মন দিলেন সংসারে।
ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে, ১৯৯৯ সালে তিনি বিয়ে করেন চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে। এরপর মুম্বাই ছেড়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি রুপালি দুনিয়ার চাকচিক্য ছেড়ে সাধারণভাবে সংসার করতে চেয়েছিলেন। ছেলেদের বড় করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু রূপার চমক তো পিছু ছাড়ে না। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস শুরু করলেও মাধুরীর মাহাত্ম্য চাপা থাকেনি। কারণ সেখানে যে হাজার ভারতীয়ের বসবাস।
এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী তার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন।
অভিনেত্রী বলেন, ‘সেখানে কেউ কেউ আমাকে চিনে ফেলতেন। হয়তো আমি বাজার করতে গেছি, হয়তো একটি টমেটো বা ফুলকপি হাতে নিয়েছি, চোখাচোখি হয়ে গেল অন্য এক ভারতীয়ের সঙ্গে। তবে ওরা খুবই ভদ্র ও সংযত। হয়তো আমাকে বলে গেলেন, আমার ছবি তার খুবই পছন্দ। ব্যস।
ওরা জানেন এটা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্ত, আমাকে একা থাকতে দেওয়া উচিত।’
ভক্তদের ভালোবাসার আতিশয্য সেই সময় তার কাছে কাঙ্ক্ষিত ছিল না এটা মাধুরী বুঝিয়ে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ হতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু, সত্যিই কি তার মতো একজন অভিনেত্রীর পক্ষে এমন একটা জীবন যাপন করা সম্ভব!
মাধুরী জানিয়েছেন, কখনও কখনও তার মনে হতো কেউ সত্যিই রাস্তায় তাকে চিনে ফেলুক। তার কথায়, ‘ওই দেশে আমাকে গাড়ি চালিয়ে সব জায়গায় যেতে হতো। কিন্তু আমি কিছুতেই ঠিকানা খুঁজে পেতাম না। আমার তো অভ্যাস ছিল না। নিজের দেশে যখন যেখানে যেতে চাইতাম চালকই নিয়ে যেতেন। সেই পথ হারিয়ে ফেলার সময়ে আমার মনে হতো, ইশ কেউ আমাকে চিনে ফেলুক, আর বুঝিয়ে দিক যে আমি ভুল পথে চলে এসেছি।’
পরিবারের কাছেও নিজের গ্ল্যামার লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন মাধুরী। নিজেই জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে বসে নিজের ছবি দেখতেন না তিনি। বিশেষ করে সন্তানদের সামনে।
এসএম/টিএ