পাকিস্তান একের পর এক হামলার পর ভারতের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে গোলাবর্ষণ, ড্রোন ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানায়। তবে তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলার জবাবে পাকিস্তান তাদের সামরিক বাহিনীকে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
শনিবার (১০ মে) আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তান ভারতে বড় আক্রমণ চালিয়েছে। বিমানঘাঁটিতে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সামরিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ফাতাহ-১ মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত করতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফাতাহ-১। বেসামরিক স্থাপনাগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তু নয়।
পাকিস্তান দাবি করেছে, ৬ মে রাতের ভারতীয় হামলায় পাকিস্তানের বেসামরিক নাগরিকরা নিহত হয়েছেন। এরপরও তারা সংযম রেখেছিল, তবে ভারতের আক্রমণ অব্যাহত থাকায় পাকিস্তান হামলা চালানোর জন্য বাধ্য হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আরো জানিয়েছে, এই অভিযানটির নাম ‘অপারেশন বুনইয়ান উল মারসুস’ রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঠানকোট, উদমপুর এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগারে সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সামা টিভি তাদের নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এই হামলার পরপরই ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে।
এসএস/এসএন