আম খেতে ভালোবাসেন নিশ্চয়ই? সারাবছর সুমিষ্ট আমের স্বাদ নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। শুধু কি স্বাদ? আমের পুষ্টিগুণের কথাও কারও অজানা নয়। আপনি কি জানেন যে এই আম আমাদের হজমের জন্যও বেশ উপকারী? হজমে সহায়তা করার জন্য সঠিক খাবার খেতে হবে। এই গ্রীষ্মে সেই তালিকায় রাখুন আমের নাম। এই ফলে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল রয়েছে। যার সবই অন্ত্রের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. প্রিবায়োটিক ফাইবার সমৃদ্ধ
আমে একটি বিশেষ ধরনের ফাইবার থাকে যা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রিবায়োটিক ফাইবার প্রোবায়োটিকের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে, যা সুষম এবং বৈচিত্র্যময় মাইক্রোবায়োম বজায় রাখতে সাহায্য করে। যা ভালো হজম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে কাজ করে।
২. প্রাকৃতিক পাচক এনজাইম
আমের মধ্যে অ্যামাইলেজ থাকে। এটি এক ধরনের এনজাইম যা জটিল কার্বোহাইড্রেটকে সহজ শর্করায় ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। এই এনজাইমগুলো মসৃণ হজমে সহায়তা করে, বিশেষ করে মূল খাবারের পরে খেলে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমকে প্রাকৃতিক হজম সহায়ক হিসেবে খেতে পারেন। এটি অন্ত্রকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে সাহায্য করে।
৩. প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য
অন্ত্রের প্রদাহ হলো পেট ফাঁপা থেকে শুরু করে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম পর্যন্ত হজমের নানা সমস্যার মূল কারণ। আমে ম্যাঙ্গিফেরিনের মতো পলিফেনল থাকে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা তার প্রদাহ-বিরোধী সুবিধার জন্য পরিচিত। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ম্যাঙ্গিফেরিন অন্ত্রের প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা ধীরে ধীরে অন্ত্রের আস্তরণকে রক্ষা করে।
৪. সিস্টেমের উপর কোমল
অন্যান্য উচ্চ ফাইবারযুক্ত ফলের তুলনায় আম সহজভাবে হজম করা যায়। এটি নরম, হাইড্রেটিং এবং হজম করা সহজ। যারা উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন তাদের জন্য আম উপযুক্ত একটি ফল। টেক্সাস এএন্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন আম খেলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরভাবে সাহায্য করে।