বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুড (বিএসএসএফ)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো সপ্তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন। শনিবার (১০ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, খাদ্যে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও পেস্টিসাইডের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মৌসুমি ফল ও সবজি যথাযথ সময়ে উৎপাদন ও ভোগ করলে কেমিক্যাল ছাড়াই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। এজন্য কৃষকের পাশাপাশি ভোক্তাকেও সচেতন হতে হবে, যাতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা যায়।
এই সম্মেলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান শিকদারের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব জাকারিয়া ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিস সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)-এর প্রেসিডেন্ট মি. শামসুল আরেফিন খালেদ।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুড এর প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কেএইচএম নাজমুল হুসাইন নাজির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন 'সিআইআরডিএপি'-এর মহাপরিচালক ড. পি. চন্দ্র শেখর। মুল প্রবন্ধে তিনি খাদ্য অনিরাপদ হওয়ার কারণসমুহ, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্বসহ নিরাপদ খাবারের অবস্থা, সম্পর্কে বিষদভাবে বর্ণনা করেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব জাকারিয়া বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আমাদের কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত এবারের সম্মেলনে ৮৯টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। ৬০টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৫০ এর অধিক সদস্য সম্মেলনে অংশগ্রহন করেন। সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ঠ বিজ্ঞানীদেরকে উৎসাহিত করা হয় এবং যুগোপযোগী গবেষণা করার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
এফপি/এস এন